অভিযোগ, মোবাইলের জন্য সরকারি বরাদ্দ দিয়ে এখন সরকারের তরফে আশাকর্মীদের মোবাইল ফোন কিনে তার রসিদ জমা করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এর জেরে বেকায়দায় পড়েছেন আশাকর্মীরা। এর প্রতিবাদে এদিন জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন বাঁকুড়া জেলায় কর্মরত আশাকর্মীরা।
advertisement
তাঁদের দাবি, তাঁরা এই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মূল স্তম্ভ। অথচ সামান্য মাসিক সাম্মানিকের বিনিময়ে তাঁদের দিয়ে বিভিন্ন কাজ করানো হয়। স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের পাশাপাশি তাঁদের দিয়ে ডেটা এন্ট্রি অপারেটারের কাজও করানো হচ্ছে। এতকিছুর বিনিময়ে মাসিক সাম্মানিক মেলে মাত্র ৫ হাজার ২৫০ টাকা। ইনসেনটিভ হিসেবে প্রাপ্য অর্থ সরকারি টালবাহানায় মাসের পর মাস বকেয়া পড়ে থাকে।
এই অবস্থায় দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর সম্প্রতি রাজ্য সরকার এই আশাকর্মীদের মোবাইলের জন্য মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ করে। আশাকর্মীদের দাবি, সামান্য ওই বরাদ্দে যেমন কাজের উপযোগী মোবাইল ফোন কেনা সম্ভব নয়, তেমনই একই সঙ্গে দু’টি ফোনের সিম কার্ড রিচার্জের সামর্থ্যও তাঁদের নেই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের তরফে প্রত্যেককে মোবাইল কেনার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে এই চাপ বন্ধ, সিম কার্ড রিচার্জের জন্য অর্থ প্রদান ও সাম্মানিক বৃদ্ধির দাবিতে বাঁকুড়ার জেলাশাসকের দফতরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আশাকর্মীরা।
