TRENDING:

গম্ভীর ধ্বনির এই বাদ্যযন্ত্রই দুই জেলার 'ট্রেডমার্ক'! কিন্তু পরিশ্রম করেও কারিগরদের লাভ নামমাত্র

Last Updated:

এই যন্ত্রের ধ্বনি গম্ভীর। আদিবাসীরা একসময় রণবাদ্যে বা দূরাঞ্চলে সঙ্কেত পাঠানোর জন্য ব্যবহার করতেন। মূলত ছৌনাচ ঝুমুরের সঙ্গে এই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
খাতড়া, বাঁকুড়া, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: কলকাতা থেকে যখন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ঘুরতে আসেন তখন আদিবাসী ঐতিহ্যবাহী নৃত্য দেখতে খুব ভালবাসেন বহু মানুষ। সেই নৃত্য হয় ধামসা মাদলের সহযোগে। ধামসা আদিবাসী এক বাদ্যযন্ত্র! কিন্তু জানলে অবাক হবেন, একটা ধামসা তৈরি করতে কত স্ট্রাগেল! ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া থেকে নিয়ে আসা হয় ড্রাম পাত। সেই ড্রাম পাত দিয়ে তৈরি হয় ধামসার কাঠামো। ভারতীয় লোক-তালযন্ত্র। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, মেদেনীপুর, বাঁকুড়া, উড়িষ্য এবং ঝাড়খণ্ডের লোকসঙ্গীতে ব্যবহৃত হয়।
advertisement

শিশুকাঠ বা লোহার চাড়ির মুখে ছাউনী তৈরি করে এই যন্ত্র তৈরি করা হয়। এই ঝাউনিতে কোনও গাব বা খিরন ব্যবহার করা হয় না। মোটা কাঠের দণ্ড দিয়ে আঘাত করে এই বাদ্যযন্ত্রটি বাজান হয়। এই যন্ত্রের ধ্বনি গম্ভীর। আদিবাসীরা একসময় রণবাদ্যে বা দূরাঞ্চলে সঙ্কেত পাঠানোর জন্য ব্যবহার করতেন। মূলত ছৌনাচ ঝুমুরের সঙ্গে এই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ঝুমুর অঞ্চলের বীররসের গানে, পুজোয়, সামাজিক বড় বড় পার্বণে এই যন্ত্র বাজন হয়।

advertisement

আরও পড়ুন : সেলফি তুলে ক্লান্ত হয়ে যাবেন! উত্তরবঙ্গের নতুন আকর্ষণ ‘জুরন্তি’ দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে

তবে এই ধামসা তৈরি হয় ড্রামের পাত দিয়ে। মাঝারি সাইজের ড্রামের পাত হলে দুটি ধামসার কাঠামো তৈরি করা হয়। এক একটি ড্রামের পাত চাকুলিয়া থেকে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা দামে কিনে নেন শিল্পীরা। তারপর সেই পাত ভাল করে ঠুকে, কেটে তৈরি করা হয় কাঠামো। সেই কাঠামোগুলি ছাউনি তৈরি করে ধামসা বানিয়ে বিক্রি করা হয় হোলসেল বাজারে। রোজগার যে খুব একটা বেশি, তেমনটা নয়।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দেখতে সাধারণ, স্বাদে লাজবাব, বাজারেও ব্যাপক চাহিদা! এবার পুকুরেই চাষ হবে 'এই' মাছ
আরও দেখুন

তেরোশো টাকায় ড্রাম কিনে প্রায় ১৮০০ টাকায় জোড়া বিক্রি করতে হয় ধামসা। আদিবাসী সংস্কৃতির সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত ধামসা মাদল। মহুয়ার ছোঁয়ায় বুঁদ হয়ে ধামসা মাদলের ছন্দে মেতে ওঠেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। ঝুমুর গান, টুসু গানের সঙ্গে ধামসা মাদলের ছন্দ দোলা লাগায় শহুরে মানুষের মনেও।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
গম্ভীর ধ্বনির এই বাদ্যযন্ত্রই দুই জেলার 'ট্রেডমার্ক'! কিন্তু পরিশ্রম করেও কারিগরদের লাভ নামমাত্র
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল