প্রথম দিকে কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও পরে গ্রাহকরা বুঝলেন ব্যাঙ্কের উদ্যোগে চলছে রক্তদান শিবির, তাও আবার ব্যাংকের ভিতরেই ৷ উৎসবের মরশুমে রক্তদান শিবির বন্ধ হওয়ায় ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে চলছে রক্তের হাহাকার৷ একদিকে ডেঙ্গির প্রকোপ, অন্য দিকে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তরা রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্কের দ্বারে দ্বারে হন্যে হয়ে ঘুরলেও হতাশ হয়েই ফিরতে হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষকে৷
advertisement
বিভিন্ন জায়াগায় ডেঙ্গি রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় প্লেটলেট- এর দাম হাঁকাচ্ছে ১৫০০ - ২০০০ টাকা৷ কোথাও আবার এর থেকেও বেশি৷ রক্তের অভাব রাজ্যের সর্বত্র৷ এই সমস্যার কিছুটা সুরাহা করতে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু রেখেই ব্যাঙ্কের ভিতরে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করল হাওড়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা৷
আরও পড়ুন: হিমাচলে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা, গুজরাতে নয় কেন? কারণ জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার
ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নিতে আসা মানুষজনদের মধ্যেও কেউ কেউ রক্তদান করে নজির গড়লেন৷ হাওড়া বাসিন্দা গ্রাহক অমিত রায় জানালেন, 'প্রথমে এসে দেখে একটু চমকে গিয়েছিলাম, তারপর বুঝলাম ব্যাঙ্ক কর্মীদের মহান উদ্যোগের বিষয়টা, মাথায় এলো আমি যদি এই উদ্যোগে সামিল হতে পারতাম, ইচ্ছেপ্রকাশের পরই এগিয়ে এলেন ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক, আমিও রক্তদান করলাম৷ ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে তো সবাই আসে, আমি না হয় টাকার পাশাপাশি রক্তও জমা করে গেলাম | যদি কোনও মানুষের উপকারে আসতে পারি৷'
ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের রিজিওনাল হেড সামির কুমার জানান, 'ব্যাঙ্ক কর্মীদের আবেদনে সারা দিয়ে এই রক্তদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিলাম, কতটা সা[]e পাবো তা নিয়ে ধন্দ্ব থাকলেও অনুষ্ঠানে এসে বুঝলাম কর্মীদের মহান উদ্যোগটি সফল, আর এই সফলতা ব্যাঙ্ক কর্মী ও ব্যাঙ্কের গ্রাহকরাই অর্জন করলেন৷ ভিজিল্যান্স অ্যাওয়ারনেস সপ্তাহ ২০২২- এর অনুষ্ঠান এই রকম মানবসেবায় পরিণত হতে পারে বুঝতে পারিনি৷'
সকাল থেকেই সময় মতো ব্যাঙ্ক খুললেও ব্যাঙ্কের সব কাজকর্ম সেরেই ব্যাঙ্ক কর্মী ও গ্রাহকরা মিলে প্রায় ৫০ জন রক্ত দান করলেন ৷ রক্ত নিতে আসা চিকিৎসকদের দাবি, বিভিন্ন সংগঠনের রক্তদান শিবির বা কারোর ব্যক্তিগত পারিবারিক অনুষ্ঠানে রক্তদান শিবিরের দৃষ্টান্ত থাকলেও একটি গুরুত্ব পূর্ণ সেক্টরের কর্মীরা নিজেদের কাজ বজায় রেখেই যেভাবে রক্তদান۔উৎসব পালন করলেন, তা অভূতপূর্ব৷