রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাঙ্কের হেঁড়িয়া শাখার গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে কয়েক লক্ষ টাকার জালিয়াতির অভিযোগ। জালিয়াতি ধরা পড়তেই অভিযুক্তকে ঘিরে ধরে গ্রাহকরা। অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। শতাধিক গ্রাহকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট জালিয়াতি করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের অপারেটরের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুনঃ খালি পেটে রোজ চিবিয়ে খান শুধু দুটো তুলসী পাতা, শরীরে যা ঘটবে…! জানলে একদিনও মিস করবেন না
advertisement
কেউ ভ্যান চালক, কেউ দিনমজুর, কেউ আবার সাধারণ গৃহবধূ। প্রত্যেকেরই রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাঙ্কের হেঁড়িয়া শাখায় সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বেশিরভাগই আর্থিক লেনদেন করেন ওই শাখার গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র থেকে। গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রেই জালিয়াতি ঘটনা। গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের অপারেটর দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতারিত করে চলেছে। প্রাথমিকভাবে কেউ বুঝতে না পারলেও। সম্প্রতি এক গ্রাহকের টাকা ফিঙ্গার প্রিন্ট জালিয়াতি করে তুলে নেয় ওই অপারেটর। তারপরে এই ঘটনা সামনে আসে।
আরও পড়ুনঃ ভারী বৃষ্টির দোসর ঝড়-ভয়ঙ্কর বজ্রপাত, ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার তাণ্ডব, হলুদ সতর্কতা জারি আলিপুরের
জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে টাকা জমা দিতে এলে কখনও সার্ভার ডাউন বা কখনও ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলছে না বলে দফায় দফায় গ্রাহকদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে নেওয়া হত। পরে দেখা যায় বহু গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক দফায় দফায় টাকা তোলা হয়েছে। আবার কোনও কোনও গ্রাহক ওই সিএসপি সেন্টারে অ্যাকাউন্টে নগদ টাকা জমা করলেও গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত না সেইসব টাকা। গ্রাহকেরা সিএসপি অপারেটরকে জালিয়াতির কথা জিজ্ঞেস করলে তা অস্বীকার করে। এরপরই পুলিশে দ্বারস্থ হলে উপযুক্তকে আটক করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, প্রায় শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে ফিঙ্গার প্রিন্ট জালিয়াতি করে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা নয়-ছয় করা হয়েছে।
কারও ৪৫ হাজার, কারও ৫০ হাজার কারও আবার ১০ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার জালিয়াতির ঘটনা সামনে এল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাঙ্কের হেঁড়িয়া শাখার গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র থেকে। জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসতেই অভিযুক্তকে ঘিরে ধরে গ্রাহকেরা। অভিযুক্ত ইন্দ্রজিৎ নামে ওই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের অপারেটরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সৈকত শী