দাঁতনের প্রতারিত গ্রাহকদের থেকে জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের মালিক রাজীব মাইতি গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। টাকা হাতিয়ে নিয়ে পরিকল্পিতভাবেই তিনি পালিয়ে গিয়েছেন বলে দাবি। এরই মধ্যে গত শুক্রবার ছেলের নামে থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন রাজীবের বাবা বিনয় মাইতি। ফলে বিষয়টি আরও জটিল আকার ধারণ করে।
advertisement
আরও পড়ুন: মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল রত্ন ভাণ্ডার! গভীর রাতে মিনাখাঁ তোলপাড়
তবে ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তি সন্ধানের জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আর তদন্তের শুরুতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ জানতে পারে, শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় একটি সোনা দোকানে গয়না কিনতে দেখা গেছে রাজীবকে। বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন প্রতারিতরা। তাঁদের দাবি, প্রচারণার টাকা দিয়েই সোনার গয়না কিনেছেন রাজীব।
আরও পড়ুন: বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গার জল! আর একটু বাড়লেই…! আতঙ্কে ঘুম উড়েছে ‘এই’ এলাকার বাসিন্দাদের
এদিকে এই আর্থিক প্রতারণার ঘটনায় দাঁতনের প্রায় ২০-৩০টি গ্রামের কয়েক হাজার গ্রাহক সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ। দুশ্চিন্তায় কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে দুলাল চন্দ্র জানা নামে প্রতারিত এক গ্রাহক বলেন, সিএসপি-তে জমা পড়া ৫০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে রাজীব মাইতি। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন, স্যালাইন চলছে। কিন্তু এই অবস্থায় চিকিৎসা বন্ধ হওয়ার যোগাড়। অনেকে আবার আত্মহত্যা করতে চাইছেন। সোমবার ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিক এলাকায় গিয়ে প্রতারিতদের সঙ্গে কথা বলে নথি সংগ্রহের কাজ করেন। কিন্তু তাঁদের দেখেই প্রতারিতরা উত্তেজিত হয়ে ঘেরাও করেন। দুপুর থেকে সন্ধে পর্যন্ত এলাকার একটি সমবায় সমিতিতে আটকে রাখা হয় ব্যাঙ্ক কর্মীদের। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রতারিতরা ব্যাঙ্ক কর্মীদের ছেড়ে দেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই প্রসঙ্গে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ফিল্ড সুপারভাইজার রাজু মণ্ডল বলেন, আমরা শুক্রবার থেকেই গ্রাহকদের কাছ থেকে তাঁদের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করছি। এটা মিটে গেলেই আমরা তাঁদের টাকা ফেরানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নিখোঁজ রাজীবের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পুলিশের দ্বারস্থ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।