খোঁজ চলছে প্রতারক সঞ্জয় বিশ্বাসের। ক্যামেরায় অসিত দাসের সঙ্গে সুকান্ত মুখোপাধ্যায়ের রিপোর্টইটিভি নিউজ বাংলা .
ভাল ব্যবহার। হাসিমুখ। সাহায্য করার মানসিকতা। কথার জালে মানুষের বিশ্বাস আদায়ের ক্যারিশ্মা। মহেশতলা ডাকঘরের এসবিআই ব্রাঞ্চের ঠিকাদার কর্মী সঞ্জয় বিশ্বাসের এটাই ছিল ইউএসপি। প্রতারণার হাতিয়ারও। তিন বছর আগে এসবিআই শাখায় কাজে যোগ দেন সঞ্জয়। ভাড়া থাকতেন মহেশতলার মুখার্জিপাড়ায়। তাঁর পাশের বাড়িতেই থাকেন অনিমা বাগিন। সঞ্জয়ের কথা বিশ্বাস করে ব্যাঙ্কে জমা দিতে তার হাতে এক লক্ষ একুশ হাজার টাকা তুলে দেন অনিমা। বদলে পান রসিদও। পরে পাশবই আপডেট করাতে গিয়ে দেখা যায় টাকাটা জমাই পড়েনি ব্যাঙ্কে। ধরা পড়ে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন সঞ্জয়।
advertisement
এরকমই আরও ঘটনা একেক করে সামনে আসতে থাকে। কেউ টাকা জমা করতে দিয়েছিলেন। কেউ ধার দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার থেকে আচমকা বেপাত্তা সঞ্জয়। ব্যাঙ্কে পাশবই আপডেট করাতে গিয়ে প্রতারণার আরও খবর প্রকাশ্যে আসে।
মহেশতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সাফাই, সঞ্জয় অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। যে এজেন্সি থেকে তাঁকে নেওয়া হয়েছিল বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে। ব্যাঙ্কের তরফেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। খোঁজ চলছে প্রতারক সঞ্জয় বিশ্বাসের।