এক লক্ষ টাকা তাঁরা মাস পাঁচেক আগে লোন নিয়েছিলেন ৷ তারই এক মাসের কিস্তির টাকা বাকি ছিল ৷ এর আগে এই সংস্থা থেকে দু’বার লোন নিয়েছিলেন তাঁরা ৷ প্রথম বার ৩০ হাজার টাকা ও পরের বার ৫০ হাজার টাকা ৷ দু’বারই লোন পরিশোধ করে দেন ৷ জানা যায়, ফের তাঁদের ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেওয়ার জন্য বারবার ফোন করা হয়েছিল ৷ প্রয়োজন থাকায় ১ লক্ষ টাকা লোন নেওয়া হয় ৷ নিয়মিত নাকি কিস্তিও মেটানো হচ্ছিল ৷ ফেব্রুয়ারি মাসের কিস্তির টাকা এখনও পর্যন্ত দিতে পারেননি ৷ অভিযোগ, দেবাশিসের মাকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় ওই ব্যাঙ্কের ভিতরে। এরপর নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ সেখান থেকে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। কিন্তু বৃদ্ধা ও তাঁর ছেলের অভিযোগ, পুলিশের সামনে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার জোর করে তাদের থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নেন। এবং পুলিশ নিশ্চুপ হয়ে তা দেখে।
advertisement
আরও অভিযোগ, সেখানে পুলিশের সামনে লিখিয়ে নেওয়া হয় ১৫ মার্চের মধ্যে কিস্তির টাকা তাঁরা পরিশোধ করবেন। এমনই মুচলেকা দেওয়ার পর ছাড়া হয় সেই বৃদ্ধাকে। কিন্তু এই ঘটনায় যারা এই অসুস্থ বৃদ্ধাকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেলেন, তাঁদের কাউকেই আটক বা গ্রেফতার করেনি পুলিশ। গড়িয়া শাখার সেই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কিছু বলতে নারাজ ৷ লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে ৷
সুমন সাহা