বাংলার তাঁতের শাড়ির ক্ষেত্রে নদিয়ার শান্তিপুর একটা উল্লেখযোগ্য নাম। সেখানে প্রশাসনিক বৈঠকে বাংলার তাঁত শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নয়া ভাবনার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজ্যের নিজস্ব শাড়িকে ‘বাংলার শাড়ি’ বলে ব্র্যান্ডিংয়ের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
নদিয়ার রানাঘাটের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রথমে কী কী শাড়ি হয় এটা এক জায়গায় করে একটা নথিভুক্ত করুন। যারা এটা নিয়ে আগ্রহী। যেমন মহুয়া মৈত্র, অসীমা পাত্র এদের নিয়ে একটা কমিটি তৈরি করুন। ওরা তাঁতের জেলার মানুষ। শাড়িটা ভাল বোঝে। অনেক আইডিয়া দিতে পারবে। ধনেখালি, শান্তিপুর, ফুলিয়া, মুর্শিদাবাদ সিল্ক-সহ যা যা বাংলায় বোনা হয় সেটা নিয়ে ‘বাংলার শাড়ি’ স্টোর করুন। সেখানে বাড়িতে পরার তাঁতও থাকবে আবার সিল্ক, মসলিন, ঢাকাইও থাকবে। এককথায় এক ছাদের নীচে বাংলার তৈরি হওয়া সমস্ত শাড়ি পাওয়া যাবে।”
advertisement
আরও পড়ুন- এবার Koo অ্যাপে অ্যাকাউন্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
তবে, মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন তন্তুজ বা মঞ্জুষার থেকে এটি আলাদা। ‘বাংলার শাড়ি’-র শোরুমের মাধ্যমে বাংলার তাঁতিদের আয় বাড়বে বলে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘শুধু জেলায় জেলায় দোকান নয়, বিভিন্ন বড় বড় মেলায় বাংলার শাড়ির স্টল করতে হবে। তাহলে তাতে বিক্রিও হয়ে যাবে।”
শীতকালে একটার পর একটা মেলা আছে। সেখানেও স্টল করা পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার তাঁতিদের হাতের কাজ বারবারই পছন্দ মুখ্যমন্ত্রী। নিজেও বাংলার তাঁতের শাড়িই পরেন তিনি। এদিন প্রশাসনিক সভা থেকে মমতা বলেন, ”তাঁর এই শাড়ি কখনও কৃষ্ণনগর, কখনও শান্তিপুর, নবদ্বীপ, মুর্শিদাবাদ, রাণাঘাট আবার কখনও ধুলিয়ানের তাঁতিরা বোনেন। আমি যে শাড়িটা পরে থাকি সেটাও বাংলার কোনও না কোনও তাঁতির বোনা।” প্রসঙ্গত, শান্তিপুরের রাস উৎসবে পদ্মশ্রী প্রাপ্ত শিল্প বীরেন বসাক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি শাড়ি দেখান। সেই শাড়ি কলকাতা বিমানবন্দরে বিশ্ব বাংলার স্টোরে প্রদর্শন করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।