পুলিশ সূত্রে খবর, ২০০১ সালে মাত্র বারো বছর বয়সে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসে শফিকুল। দীর্ঘদিন ধরে সে বর্ধমানেই বসবাস করছিল। এদেশে থাকার জন্য সে রেশন কার্ড, প্যান কার্ডের মতো নথিও জোগাড় করে ফেলে। বর্তমানে সে স্থানীয়ভাবে গাড়ি চালকের কাজ করছিল।
সাপের গ্রাম! দেশে এমনটি আর কোথাও নেই…মানুষের পাশে কিলবিল করছে ‘প্রতিবেশী’ সাপ! কোথায় জানেন?
advertisement
কিন্তু সম্প্রতি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তদন্তে নামে। জেরা চলাকালীন বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা-সহ কোনওরকম বৈধ নথিপত্র দেখাতে পারেনি শফিকুল। এরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির কাছ থেকে তার ভারতীয় পরিচয়ের কিছু নথিপত্র মিলেছে, যার সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। কীভাবে এবং কার সহায়তায় সে এইসব নথি সংগ্রহ করল, তাও তদন্তের বিষয়। এই ঘটনায় কোনও চক্র জড়িত রয়েছে কি না, তা নিয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আজ ধৃত শফিকুল সর্দারকে বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তকারীদের দাবি, এধরনের ঘটনা শুধু অবৈধ অনুপ্রবেশই নয়, জাতীয় নিরাপত্তার দিক থেকেও উদ্বেগজনক।
এনিয়ে জেলার প্রশাসনিক মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্ন, এতদিন ধরে এই ব্যক্তি কীভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দিব্যি বসবাস করে এলেন? পুলিশের দাবি, এ বিষয়ে আরও তথ্য মিললে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নাম সামনে আসতে পারে।