প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে বাংলাদেশে গ্রেফতার হতে হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। পেট্রাপোল সীমান্তে আসা যাত্রীদের থেকে জানা যায়, প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে নির্বিচারে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কোনও রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে না ইউনূস সরকারকে। ফলে ভারত থেকে বাংলাদেশে যাওয়া নাগরিকরা যেমন দ্রুত ফিরছেন দেশে, তেমনই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরাও চলে আসছেন সীমান্তে।
advertisement
নিজেদের প্রাণ বাঁচাতেই এমন লড়াই চালাতে হচ্ছে বলে জানালেন ভারত থেকে বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে গুরু বাড়িতে যাওয়া এক মতুয়া ভক্ত গোলক বিশ্বাস। চোখে মুখে আতঙ্ক নিয়েই এদিন পেট্রাপোল দিয়ে ভারতে আসেন তিনি। তিনি জানান, মাত্র কয়েক দিনের চোখে দেখা অভিজ্ঞতার কথা। ভয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতেই দিন কয়েকের মধ্যেই কোনও রকমে ফিরলেন নিজের দেশে।
অপরদিকে, বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা স্বপন পাল ভারতে এসে জানালেন, সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হচ্ছেন বাংলাদেশে। সেক্ষেত্রে তাদের জন্মভূমি ছেড়ে তারা আর কোথায় যাবেন! ভারতে আসতে চাইলেই তো আর সরকার আসতে দেবে না। ফলে আক্ষেপের সুর বাংলাদেশের এই নাগরিকের গলায়।
এদিন পেট্রাপোল সীমান্তে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মুখ থেকেও শোনা গেল প্রতিবেশী বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির কথা। তবে বিশ্ব শান্তির উদ্দেশ্যে বৌদ্ধ বিহারে অনুষ্ঠিত একটি পরিব্রাজক সভায় যোগ দেওয়ার জন্যই তাঁরা চট্টগ্রাম থেকে ভারতে আসেন বলে জানান। ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক সহ নানা বিষয়ে এদিন নিজেদের মত ব্যক্ত করেন এই সন্ন্যাসীরা। সব মিলিয়ে সীমান্ত এলাকা গুলির নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে সীমান্ত সুরক্ষার জন্য। কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে সীমান্ত বাণিজ্যেও।
—- Rudra Narayan Roy