ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা রাস্তা চলে গিয়েছে নদীগর্ভে। এছাড়াও যেখানে ভাঙন হয়েছে তার থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে কিশোরীগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুল সহ পড়ুয়াদের পড়াশোনার ক্ষতির কথা ভেবে বর্তমানে চরম আতঙ্কে গ্রামবাসীরা। এই প্রসঙ্গে সন্তু মণ্ডল নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমাদের যাতায়াতের প্রধান রাস্তাতেই এই ভাঙন হয়েছে। এখন আমাদের অন্য লোকের জমি দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অন্যের জমি দিয়ে যাতায়াত করলে তাঁরা বাঁধা দিচ্ছেন। ফলে আমরা খুব সমস্যায় পড়েছি। এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতে একাধিকবার জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারতের একমাত্র পঞ্চমুখী শিব মন্দির এইখানে অবস্থিত, শ্রাবণ মাসে ছুটে আসেন ভক্তরা
পূর্বস্থলী-১ নম্বর ব্লকের এই কিশোরগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দারাও কৃষিকাজের উপরেই নির্ভরশীল। তবে বেশ কয়েকজন রয়েছেন যাঁরা এখনও তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এই গ্রামেই প্রায় দু’দশক আগে বন্যার সময় গ্রামবাসীদের চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সেইসময় কারও বাড়ি পড়ছিল ভাঙনের কবলে, আবার কারোর চাষের জমি তলিয়ে গিয়েছিল নদী গর্ভে। ঠিক সেরকমভাবেই আবারও এবার বাড়ি, জমি নিয়ে চরম চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন গ্রামবাসীরা। প্রশাসনের তরফ থেকে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও পদক্ষেপ না করায় দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী