সকাল ছয়টা থেকে জল নিতে বড় বড় প্লাস্টিকের জার, হাঁড়ি, কলসি এবং বোতল নিয়ে ভিড় জমান গ্রামবাসীরা। কেউ কেউ আবার পুকুর থেকেই জল তুলে পান করেন এক নিমেষে। গ্রামবাসীদের একাংশের মতে, ঠাকুর পুকুরের জলে রান্না খুব ভাল হয় এবং দীর্ঘ দিন ধরে এই জল পান করেও কেউ অসুস্থ হননি বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। মূলত পূর্ব পুরুষের আমল থেকেই চলে আসছে এই রীতি। এই পুকুরে কাপড় কাচা, বাসন মাজা কিংবা স্নান করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র পানীয় জলের জন্যই ব্যাবহার করা হয় এই পুকুর।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিজিতের সমর্থনে প্রচারে আসছেন মোদি, তমলুকে ঝড় তুলতে চায় বিজেপি
বেলবনি গ্রামে প্রবেশ করলেই দেখতে পাবেন বাড়িতে বাড়িতে লাগানো রয়েছে জলের কল। তবে গ্রামবাসীদের একাংশের মতে, সেই জল তারা পান না করে অন্যান্য কাজে ব্যবহার করেন। নিজেদের সুবিধা মত পুকুরের জল এবং কলের জল ব্যাবহার করেই কাজ চালাচ্ছেন বেলবনির মানুষ। গ্রামের বাসিন্দা শ্রীমন্ত দেব বলেন, এই পুকুরে কাউকে নামতেই দেওয়া হয় না। শুধুমাত্র পান করার জলের জন্য আমরা এই পুকুরকে ব্যবহার করি। বেলবনির বাসিন্দা যারা দিল্লি কিংবা মুম্বইতে রয়েছেন তাঁরাও বাড়ি এলে এই জল নিয়ে যান সঙ্গে করে।
বেলবনি গ্রামের গৃহবধূ সাগরি মাঝি রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকেন পুকুরের জল। যদিও তার বাড়িতে লাগানো রয়েছে দু-দুটি কল। সাগরি মাঝি বলেন, বাড়িতে কল লাগানো থাকলেও আমরা পুকুরের জল পান করি এবং রান্নার কাজে ব্যবহার করি। কেউ কোনদিন অসুস্থ হননি। এই জলে খুব ভাল রান্না হয়।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী