ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের আরাধ্য দেবতা হলেন গ্রামে থাকা লৌকিক দেবী বা দেবতা। তেমনই ঝাড়গাম জেলার রগড়া এলাকায় রয়েছেন লৌকিক এক দেবী। যিনি মনসা রূপে পুজো পান। মোটা পুরানো তেঁতুল গাছের নিচে দেবীর অবস্থান। বহু যুগ যুগ ধরে বংশপরম্পরায় এই দেবীর মাহাত্ম্য দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের বিশ্বাস, এই মনসা দেবীর কাছে যা মানত করা হয় তা অক্ষরে অক্ষরে ফলে যায়। শুধু তাই নয় বিভিন্ন বিপদ থেকেও তিনি নাকি রক্ষা করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: গুম্ফায় গুম্ফায় চলছে ‘সাগা দাবা’ উৎসব, কথাটা কোথা থেকে এসেছে জানেন?
রগড়া এবং কুঁকড়াখুপি এলাকার মধ্যে রয়েছে এই লৌকিক দেবীর মন্দির। যা এলাকায় প্রচলিত ভুঁইধরণী দেবী হিসেবে। বংশ পরম্পরায় ব্রাহ্মণ নয়, মাঝি সম্প্রদায়ের মানুষের হাতে পুজিত হন দেবী। প্রতিদিন ভিড় থাকলেও শনি, মঙ্গলবার এবং সংক্রান্তির দিনগুলোতে বেশ ভিড় জমে এখানে। হাতি-ঘোড়া এবং লাল রেশম দিয়ে মানত করতে হয় দেবীর কাছে। ভক্তদের বিশ্বাস দেবীর কাছে মনস্কামনা জানিয়ে পুজো দিলে পূরণ হয় মনের ইচ্ছে। শুধু তাই নয়, মন্দিরের গা ঘেঁষে চলেছে রাজ্য সড়ক। রাজ্য সড়ক দিয়ে যাওয়া বাসও কোনও স্টপেজ ছাড়া দাঁড়িয়ে যায় এখানে। নেমে আসেন চালক কিংবা হেলপার। পুজো দিয়ে, প্রণাম করে তবে আবার বাস নিয়ে যান গন্তব্যে। বিশ্বাস যে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেন দেবী।
ফল, অন্ন প্রসাদের পাশাপাশি সংক্রান্তির দিনেও বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয় দেবীর কাছে। ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরের পাশাপাশি ওড়িশা রাজ্যের বহু মানুষ আসেন দেবীর পুজো দিতে। এভাবেই গ্রামীণ এলাকার ভূঁইধরণী দেবীর ব্যপ্তি ঘটেছে দূর দূরান্ত পর্যন্ত।
রঞ্জন চন্দ