সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শাহেনশাহ পুলিশের কাছে দাবি করেছে, মারধর করার পরে ওই কিশোরকে সোমবার সকালেই ছেড়ে দিয়েছিল তারা৷ তাদের দাবি, সেখান থেকে কিশোরটি অন্য একটি ওয়াশিং ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে সেই কারখানার মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ, যেখানে সেদিন ঘটনাটা ঘটেছিল। যদিও অভিযুক্তদের বয়ানের সঙ্গে কোনওরকম মিল পাওয়া যাচ্ছে না।
advertisement
এখনও পর্যন্ত কোনওরকম হদিস পাওয়া যাচ্ছে না ওই কিশোরের। আগামিকাল শাহেনশাহ সহ অভিযুক্ত তিনজনকে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে।
আরও পড়ুন: টিকিট ৬৬০ টাকা থেকে শুরু, আর…! কীভাবে যাবেন বন্দে ভারতে বৈষ্ণো দেবী?
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকেই সন্তোষপুরের একটি কারখানার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি News18 বাংলা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক নাবালককে উল্টো করে ঝুলিয়ে বিদ্যুতের শক দেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় ভয়াবহতায় কেঁপে ওঠে গোটা রাজ্য। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনও বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠে।
জানা যায়, ওই নাবালক আদতে ইসলামপুরের বাসিন্দা। তার পরিবারকে ৮-১০ হাজার টাকার তোপ দিয়ে কারখানায় কাজের জন্য এনেছিলেন শাহেনশাহ। সন্তোষপুরে তাঁর কারখানায় জিন্সের প্যান্ট রং করা হয়। সেখানেই নিখোঁজ নাবালক ও তার দাদা কাজ করত বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈষ্ণো দেবী বন্দে ভারত ট্রেনের প্রথম টিকিট কে কেটেছে? জানেন…নাম শুনলে অবাক হয়ে যাবেন
ঘটনার দিন নাবালকের দাদাও অত্যাচারিত হয়েছিল। কিন্তু তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সে-ই পরে বিষয়টি সামনে আনে। এই ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা ঘটনার সময়ে ওই কারখানাতেই উপস্থিত ছিল। এদিকে, ধৃত বাকি ২ জনের বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি আছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। একজন বলেছে মারধরের পর নাবালক কারখানা থেকে পালিয়ে যায়। অন্যজন বলে, তাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়৷