কেন এই তরমুজ চাষে বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন কৃষকরা?
চাষিরা জানালেন, সুস্বাদু আর উচ্চ পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ এই হলুদ তরমুজ চাষে অনেক বেশি লাভ৷ শুধু হলুদ তরমুজ নয়, অনেকটা সাদা ধরনের আরও এক জাতের তরমুজও ব্যাপক হারে চাষ হচ্ছে এখানে। তাঁদের দাবি, কালচে সবুজ রঙের তরমুজ থেকে হলুদ ও সাদাটে রঙের তরমুজ চাষে মুনাফার পরিমাণ থাকে অনেকটাই।তাছাড়া, আবহাওয়া অনুকুল হলে এই প্রজাতির তরমুজের ভিতরের অংশ হয় টকটকে লাল আর খুব মিষ্টি। ফলে বাজারে ক্রমেই বাড়ছে এই ধরনের তরমুজের চাহিদা। দাম বেশি, তাই খোলা বাজারে হলুদ তরমুজ খুব একটা দেখা যায় না৷ তবে বিভিন্ন শপিং মলে এই তরমুজ পাওয়া যায় হামেশাই।
advertisement
আরও পড়ুন: অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশন লিমিটেডের অধীনে প্রচুর নিয়োগ, আজই আবেদন করুন
নহাটা এলাকার কৃষকরা বিঘার পর বিঘা চাষ করে চলেছেন এই নতুন প্রজাতির তরমুজ। হলুদ তরমুজের প্রজাতির নাম 'বিশালা' আর সাদাটে তরমুজের প্রজাতির নাম 'জান্নাত'। এই বিশেষ প্রজাতির বীজ তারা অর্ডার করে নিয়ে আসেন। তারপর জৈব পদ্ধতিতে জমি উর্বর করে পলিমালচিং পদ্ধতিতে এই তরমুজের চাষ করে থাকেন তারা। বিঘা প্রতি তরমুজ চাষে মোটামুটি খরচ হয় ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। ৫৫ দিন পর থেকেই তরমুজ, বিক্রির উপযুক্ত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে চতুর্থ বিমানবন্দর, শীঘ্রই বাণিজ্যিকভাবে উড়ান চালু এই জেলায়!
বুবাই নামে একজন কৃষকের দাবি, এক বিঘা জমিতে তরমুজের ফলন থেকে বিক্রি করেছেন ৮৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা। প্রায় চারগুণ লাভ। ফলে জেলার অন্যান্য কৃষকদেরও আগ্রহ বাড়ছে নতুন প্রজাতির তরমুজ চাষে।
রুদ্র নারায়ণ রায়