পরিবারের সদস্যরা ফেলে পালালেন বৌমা-সহ নাতি নাতনিদের! দিনরাত এভাবে কাটানোর পর অবশেষে পুলিশ আটক করল তাঁদের। দুই শিশুকে বুকে আগলে এক অন্তঃসত্ত্বা বাংলাদেশের মহিলাকে এভাবে দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যান সীমান্ত এলাকার কর্মরত আধিকারিকরা থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ, বাপের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে কাকা শ্বশুর তাঁদেরকে সীমান্তে ফেলে রেখে চুপিসারে পালিয়ে যান।
advertisement
অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলার নাম ফাহিমা আক্তার। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। ছয় বছর আগে ভারতের বাসিন্দা মিলন শেখের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পর থেকে দম্পতি বাংলাদেশেই থাকতেন। গত প্রায় নয় মাস আগে স্বামীর সঙ্গে ভারতে চলে আসেন ফাহিমা। ক্যানিং এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা।
অভিযোগ, ভারতে আসার পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপর নির্যাতন চালাতে শুরু করে এবং বাংলাদেশে ফিরে যেতে চাপ দিতে থাকে। এরপর ফাহিমাকে বাপের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কাকা শ্বশুর চাঁদ শেখ তাঁকে নিয়ে আসে পেট্রাপোলে সীমান্তে।
সঙ্গে ছিল তাঁর চার বছরের ও দু’বছরের দুই পুত্র সন্তান। কিন্তু সীমান্ত সংলগ্ন একটি হোটেলে খাওয়ানোর পর ফল আনার নাম করে চাঁদ শেখ চুপিসারে পালিয়ে যান। এরপর থেকে আর কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর। শ্বশুরবাড়ির লোকদের ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি। ফলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দুই সন্তানকে নিয়ে পেট্রাপোল সীমান্তের তিন নম্বর গেটের কাছে একটি বন্ধ চায়ের দোকানের সামনেই বসে থাকতে দেখা যায় ফহিমা-সহ ওই শিশুদের।
অবশেষে এদিন বিষয়টি জানার পর পুলিশ ওই মহিলাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হচ্ছে অন্তঃসত্ত্বা ওই বাংলাদেশি মহিলাকে। প্রশ্ন উঠছে, অসহায় এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও দুই ছোট শিশুকে এভাবে সীমান্তে ফেলে পালিয়ে যাওয়া কেন?