মধ্যমগ্রাম থানা থেকে বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝরখারিয়ার হাত থেকে চুরি যাওয়া জিনিসগুলো তাঁদের হাতে তুলে দেয়। বিগত চার মাসে এমন মধ্যমগ্রাম থানাই এলাকায় ছ’টি চুরির কিনারা করল। মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়। লক্ষাধিক টাকা সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে খোওয়া গিয়েছিল সেই ব্যক্তিদের হাতেও টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। একটি স্কুটি ও মোটরবাইক চুরি হয়েছিল সেগুলো উদ্ধার করে ফেরত দেয় মধ্যমগ্রাম থানা।
advertisement
আরও পড়ুন: কারণ শুভেন্দু অধিকারীর ‘বাধা’, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ উত্তরবঙ্গের ‘বড়’ সংগঠক জন বার্লার
মধ্যমগ্রাম এলআইসি টাউনশিপ এলাকার বাসিন্দা আশিস দাশগুপ্তের বাড়িতে ঘটেছে এই ঘটনা। গতবছর তাঁর বাড়িতে পরিচারিকার কাজে নিয়োগ করেন পূজা সর্দারকে। দাশগুপ্ত দম্পতির দুই কন্যারই বিয়ে হয়ে যাওয়ায় বাড়ির মেয়ের মতোই থাকত পূজা। কিন্তু সেই পূজাই যে এত বড় কাণ্ড ঘটাবে তা কল্পনাও করতে পারেননি তাঁরা। অভিযোগ, বাড়িতে দাশগুপ্ত দম্পতি-সহ তাঁর বোন থাকতেন। এবং গত বছর বেশ কিছু গয়না-সহ শাড়ি ঘর থেকে চুরি হতে শুরু হয়। এই ঘটনা পূজাকে জানানো হলে গোটা বিষয়টি অস্বীকার করে সে বরং চুরি যাওয়া সামগ্রী দাম দিয়ে দিতে চায় পূজা। তর্কে না জড়িয়ে কাজে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পূজাকে।
আরও পড়ুন: সইফের থেকেও বেশি সইফের মতো দেখতে! বড় ছেলে ইব্রাহিম জন্ম থেকে ভুগছে কঠিন রোগে, কী হয়েছে জানেন?
চুরির কোনও প্রমাণ না থাকায় থানাতে অভিযোগও করতে পারছিলেন না আশিস দাশগুপ্ত। এরপর চলতি বছরে হঠাৎ তাঁর ছোট মেয়ে পূজার ফেসবুক প্রোফাইলে স্টোরিতে দেখেন তাঁর দিদির এবং মায়ের চুরি যাওয়া শাড়ি পূজার পরনে। আর পূজা সর্দারের এই ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয় মধ্যমগ্রাম থানায়। তদন্তে পূজা স্বীকার করেন তিনি এই কাজ করেছেন।
এরপর মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ আশিস দাশগুপ্তকে ডেকে তাঁর চুরি যাওয়া সমস্ত সামগ্রী তুলে দেয়। চুরি যাওয়া শাড়িগুলি হাতে পেয়ে তিনি বলেন, ‘এই শাড়িগুলির মধ্যে একটি শাড়ি আমার বড় মেয়ের বিয়ের বেনারসী। যেটি আমার কাছে যত্ন করে রাখা ছিল, অনেক আবেগ জড়িয়ে রয়েছে এই শাড়িতে। আজ এই শাড়ি-সহ আমার স্ত্রীর গয়না ও অন্যান্য শাড়ি হাতে পেয়ে খুব ভাল লাগছে।’
জিয়াউল আলম