জমিতে ধান পাকা শুরু করেছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাতির হানা। বর্তমানে সন্ধ্যার পরেই জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় ধান ক্ষেতে হানা দিচ্ছে হাতির দল। দিনের বেলা ধান খেতে আসছে পাখি। হাতি ও পাখির হাত থেকে ফসল বাচাতে কার্যত চিন্তায় পড়েছে কৃষকেরা। তাই হাতি ও পাখিদের থেকে ধান ক্ষেত বাঁচাতে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করছে জঙ্গল লাগোয়া এলাকার কৃষকেরা। এতে শুধু ধান ক্ষেতে হাতি ও পাখির হানা আটকানো যাচ্ছে তাই নয় বরং হাতি ও পাখিরাও আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছে না। বর্তমানে মাটিয়ালি ব্লকের গরুমারা জঙ্গল সংলগ্ন উত্তর ধুপঝোরা মাকরাপাড়া এলাকায় গেলেই চোখে পড়বে এই পদ্ধতি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হজমশক্তি বৃদ্ধি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য খাবারে এই ৪ বদল আনুন, দেখে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞ
তবে কী এই পদ্ধতি? ধান ক্ষেতের চারিদিকে অ্যালুমিনিয়ামের তার টাঙিয়ে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর অন্তর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে প্লাস্টিকের টুকরো। আর হাতি ফসল ক্ষেতে প্রবেশ করতে চাইলেই তারের সাথে হাতির ঘষা লাগালেই হয় আওয়াজ। আর এই আওয়াজেই হাতি ভয় পেয়ে আর ধান ক্ষেত্রে যায় না বলে দাবি কৃষকদের । এটা আওয়াজ নয় যেন এলার্ম হিসেবে কাজ করছে কৃষকদের জন্যও। যখনি ঝন ঝন আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন ক্ষেতের পাহারাদার বা জমির মালিক সঙ্গে সঙ্গে তারা সতর্ক হয়ে সার্চ লাইট জ্বালিয়ে বা পটকা ফাটিয়ে হাতির দলকে তাড়িয়ে দিতে পারছেন। রাতেরবেলা এইভাবেই হাতির হাত থেকে ধান ক্ষেত রক্ষা করার পাশাপাশি দিনের বেলাও ঝুলে থাকা প্লাস্টিক হাওয়ায় নড়ে ওঠার ফলে পাখিরাও ক্ষেতে আসতে ভয় পাচ্ছে।
এলাকার কৃষক সানিচারোয়া ওরাওঁ বলেন, বর্তমানে ধানের মরসুমে হাতির পালের অত্যাচারে আমাদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। এরপর বহু চিন্তাভাবনা করে আমরা বিকল্প কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করতে শুরু করি। ধান পাকতে শুরু করেছে। তাই এই ব্যবস্থা করেছি। এখন হাতি ও পাখির হাত থেকে ধান ক্ষেতকে এই পদ্ধতির ফলে ভালোভাবেই ধান রক্ষা করা যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে আমরা হাতির হাত থেকে ধান রক্ষা করার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করি।
এলাকার বাসিন্দা সাবুল হক বলেন, বর্তমানে সন্ধ্যার পরেই খাদ্যের লোভে হাতির দল চলে আসছে লোকালয়ের ধান ক্ষেতে। নষ্ট করছে ধান ক্ষেত। এই পদ্ধতি অবলম্বনের ফলে হাতি ও পাখিদের হাত থেকে ধান ক্ষেত অনেকটাই রক্ষা হচ্ছে বলে কৃষকরা জানায়। তবে রাত্রে লোকালয়ে হাতি আসলে যাতে হাতি- মানুষ সংঘাত না হয় সেই বিষয়ে আমরাও সব সময় জনগণকে সচেতন করি।
