এমনিতেই পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে শোকাহত হয়েছে মৃতের পরিবার গুলি তার ওপর ২০০০ টাকার নোট। যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়া। ২০০০ টাকার নোট নিয়ে মুশকিলে পড়েছে স্বজন হারা পরিবার গুলি। এই ২০০০ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপারোতর।এরই মধ্যে এক প্রস্ত বিতর্ক বেধেছে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিজনের হাতে তৃণমূলের তরফে দু’হাজার টাকার নোটে নগদ সাহায্য তুলে দেওয়া নিয়ে। দল হিসেবে তৃণমূল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারপিছু দু’লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্য দিচ্ছে। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল ও ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস সোমবার বাসন্তীতে গিয়ে ছড়ানেখালি গ্রামের বাসিন্দা রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের হাতে দু’লক্ষ টাকা করে তুলে দেন। সেই টাকা দেওয়া হয়েছে দু’হাজার টাকার নোটে।
advertisement
বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যতার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন তুলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেন দু’হাজার টাকার নোট পাওয়া যায় না অথচ তৃণমূলের কাছে সেই নোটই রয়েছে এত! বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তও এ দিন বলেছেন, ‘‘সমাজমাধ্যমে ভিডিয়ো পেয়েছি, রাজ্যের মন্ত্রী বলছেন এই টাকা দিদি (মুখ্যমন্ত্রী) পাঠিয়েছেন। সেখানে ২০০০ টাকার নোটে এই অর্থ মূল্য দেওয়া হয়েছে। এটাও কি কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া?’’ এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন: নতুন করে যাত্রা শুরুর দিনই ফের করমণ্ডলে ‘বিপর্যয়’, হাসফাঁস অবস্থা যাত্রীদের! কী এমন ঘটল?
ছড়ানেখালি গ্রামের বাসিন্দারাও বলেছেন, দু’হাজারের নোট বাতিলের ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরে ওই টাকা ব্যবহার করা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। এই বিষয় জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক বিজেপি নেতা বিকাশ সরদার বলেন, মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে সাধারণ মানুষের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। সকল রাজনৈতিক দল ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবে এটাই কাম্য। রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এটাই ভালো কথা কিন্তু ২০০০ টাকার নোট। যে টাকা ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে আর বৈধ নয় সেই টাকা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পরিবারকে কেন দেওয়া হলো। এই টাকা কি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতির টাকা! আমরা চাই এই গোটা বিষয়টি তদন্ত করুক তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন: ‘আমার ৯ মাস হয়ে গেল’, বিচারককে যা জানালেন অনুব্রত মণ্ডল, চমকে উঠল সকলে
এই বিষয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, মানুষকে দুটো টাকা সাহায্য করা ক্ষমতা সুকান্ত মজুমদারদের নেই! মানুষের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধানো ও মানুষকে বিভাজন করা ছাড়া ওদের আর কোন কাজ নেই। আমরা চাই সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে আইনানুপ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু২০০০ টাকার নোট নিয়ে কার্যত সমস্যায় পড়েছে ক্ষতিগ্রস্থপরিবারের লোকজনেরা।
—– সুমন সাহা