আরও পড়ুন : কলকাতায় ট্রাফিক আইনে জরিমানার বকেয়া কত? প্রকাশ্যে এল চমকে দেওয়া পরিসংখ্যান
দাদুর আমল থেকে চলে আসছে এই পেশা, সানাই বাজানো। তারপর থেকেই চলছে পরম্পরা। তবে এই পেশার শুরু দাদু অরুণ বাদ্যকরের হাত ধরে। তারপর তা পরম্পরা অনুযায়ী বয়ে নিয়ে যান সুভাষ বাদ্যকরের বাবা শ্যামাপদ বাদ্যকর (Bangla News)। কিন্তু সুভাষ বাদ্যকরের এই পেশায় আসা ১৯৯২ সালে তাঁর মা মারা যাওয়ার পর। চার ভাইবোন। বাড়ির বড়ো ছেলে হওয়ায় দায়িত্ব এসে পৌঁছয় সুভাষের ওপর। তবে ছোট্ট থেকেই বাবার সানাই বাজানো দেখে ভালোলাগতো তাঁর। তারপর দায়িত্ব আসতেই ১৯৯৪ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এই সানাই বাজানোকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। ভালো সানাই বাজাতে পারায় বেশ খ্যাতিও রয়েছে তার এলাকায়।
advertisement
আরও পড়ুন : গোয়ায় খারাপ ফল, হবে ময়নাতদন্ত! কী সিদ্ধান্ত নিলেন অভিষেক?
পরবর্তীতেই সানাই বাদক হয়ে ওঠেন এক জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। কংগ্রেসের নেতা নিহার দত্তের হাত ধরে প্রথম রাজনীতিতে আসা তাঁর (Bangla News)। তারপর ধীরে ধীরে কাজ। বর্তমানে তিনি বীরভূমের সাইথিয়ার তৃণমূলের (TMC Councilor) ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী কাউন্সিলর। একাধারে জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের জন্য কাজ অন্যদিকে পেশা সানাই বাজানো, সবটাই একহাতে সামলান তিনি।
সুভাষ বাদ্যকর (TMC Councilor) বলেন, "আমার দাদুর থেকে চলে আসছে সানাই বাজানো। সেই পরম্পরা অনুযায়ী আমিও পেশা হিসেবে বেছেনি এটাকেই। কংগ্রেস নেতা নিহার দত্তের হাত ধরেই আমার রাজনীতিতে আসা। তিনি আমায় সাহস দিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি মারা যাওয়ায় আমি কিছুটা সরে আসি রাজনীতি থেকে। সেই সময় তাঁর বড়ো ছেলে বিপ্লব দত্ত আমায় বলেন, তুমি আমার বাবার সাথে কংগ্রেসে ছিলে, এখন আমার সাথে তৃণমূলে থাকবে। সেই থেকে ২০০৭ সালে আমার আবার ফিরে আসা রাজনীতিতে। তারপর থেকেই তৃণমূলে থেকেই কাজ করছি মানুষের জন্য। তবে বর্তমানে সাইথিয়ার (Saithiya Municipal) ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী কাউন্সিলর আমি। তাই জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি যেমন মানুষের জন্য কাজ করবো ঠিক তেমনই আমি চালিয়ে যাবো আমার পেশা সানাই বাজানো।"
১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা জানান, "আগে আমরা সুভাষ দার সানাই বাজানো শুনতাম তবে এখন তিনি আমাদের পাড়ার কাউন্সিলর। খুব ভালোলাগছে আমাদের পাড়ার কাউন্সিলর হিসেবে ওনাকে পেয়ে।" বীরভূমের সাঁইথিয়া পুরসভার (Saithiya Municipal) চেয়ারম্যান বিপ্লব দত্ত জানিয়েছেন এই ধরনের মানুষদের সঙ্গে তাঁর কাজ করতে ভালো লাগবে কারন ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের সমস্যা জেনে সমস্যার সমাধান হবে। এই ধরনের কাউন্সিলর মাঠে নেমে কাজ করবে সাধারন মানুষের জন্য।