আরও পড়ুনঃ প্রকাশিত UPSC-র চূড়ান্ত ফলাফল, দেশে প্রথম উত্তরপ্রদেশের শক্তি দুবে!
অবশেষে ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে শো-কজ করল স্কুল পরিচালন সমিতি। জানা যায়, দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞানের ক্লাসে। ছাত্র আসিফ আলি ক্লাসের মধ্যেই সহপাঠীদের সঙ্গে হাসি মশকরা করেছিল। বিষয়টি নজরে আসতেই অভিযুক্ত শিক্ষক তাকে পড়া জিজ্ঞাসা করেন। অভিযোগ, পড়া বলতে না পারায় ওই ছাত্রটিকে বেধড়ক মারধর করেন ওই শিক্ষক। আসিফ আলির কথায়, পড়া বলতে না পারায় আমার চুল টেনে বেঞ্চে মাথা ঠুকে দেন শিক্ষক। এর পরে আমার ব্যাগ দিয়ে মাথায় মেরেছেন। মাথা নিচু করিয়ে পিঠে কিল-ঘুষিও মারেন। তখন থেকেই শ্বাস নিতে পারছিলাম না। পরে মুখে-চোখে জল দিয়ে আমাকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রের মা রেশমা বিবি বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাড়াহুড়ো করে নার্সিংহোমে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই, ছেলের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। যে ভাবে ছেলেটাকে মেরেছে, চোরকেও কেউ এ ভাবে মারে না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রাতে ভাত খেতেই হবে? না খেলেই মন আনচান? বড় ভুল করছেন না তো! জানুন সত্যিটা!
প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপর স্কুলে গিয়ে অন্যান্য অভিভাবকরা মিলে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ জানায়। অভিযুক্ত শিক্ষক শ্যামসনাতন সাঁতরা জানান, ক্লাস চলাকালীন বারবার ছাত্ররা ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছিল। ওদের শান্ত করার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ছাত্রের পিঠে কয়েক ঘা মেরেছি, তবে ঘুষি মারিনি। প্রধান শিক্ষক আলি আহসান বলেন, অভিভাবকরা অভিযোগ করার পর ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক হয়। অভিযুক্ত শিক্ষককে শো-কজ করা হয়েছে। শো-কজের উত্তর পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে, শিক্ষকের এমন ভাবে ছাত্রকে মারার ঘটনায় স্কুলের ভূমিকা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
Rudra Narayan Roy