পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ছেলের নাম প্রণব কুমার দাস। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সি পি ডব্লিউ ডি বিভাগে ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাগুইহাটি এলাকায় থাকতেন। বছর ৮৩-র বৃদ্ধা বাণী দাস, ছেলে বৌমা নাতির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অভিযোগ ২০১৮ সালে ছোট ছেলে প্রণব মাকে চিকিৎসার নাম করে গাইঘাটার বকচরা এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বৃদ্ধা মাকে জোর করে বিভিন্ন কাগজপত্রে সই করিয়ে নেয়। বৃদ্ধার নামে থাকা জমি-বাড়ি নিজের নামে লিখে নেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: 'অশনি' সংকেতের মাঝেই রাজ্যের এই জেলাগুলিতে প্রবল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস, জানুন আপডেট
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাণী দেবীর তিন ছেলে৷ বড় ছেলে মৃত৷ স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি মেজ ছেলে সুবীর কুমার দাসের কাছে থাকেন। ছোট ছেলে অভিযুক্ত প্রণব তাঁর পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কলকাতার বাগুইহাটি এলাকায় থাকেন। মেজ ছেলে সুবীর কুমার দাস জানিয়েছেন, "ভাই বাড়িতে এসে মাকে চিকিৎসার নাম করে নিয়ে গিয়েছিল। বলেছিল দলিলে মায়ের নাম ভুল আছে সেটা পরিবর্তন করতে হবে। পরে আমরা জানতে পারি বকচর আর একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মাকে ভুল বুঝিয়ে জোরজবস্তি করে বিভিন্ন কাগজপত্রে সই করিয়ে মার নামে থাকা জমি-বাড়ি সহ সকল সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নেয়। এই কাজে ভাইকে তাঁর স্ত্রী-সহ আরও কয়েকজন সহযোগিতা করে৷ ঘটনার কথা জানতেই আমরা গাইঘাটা থানার দ্বারস্থ হই।'
আরও পড়ুন: 'খুন নয়, ছেলে আত্মহত্যাই করেছে' বিজেপির দাবি ওড়ালেন মৃতের বাবা
বৃদ্ধা বাণী দাস বলেন, 'আমার ছোট ছেলে জোর কারে আমার জমি লিখিয়ে নিয়ে নিয়েছে, সে বড় চাকরি করে কিন্তু আমাকে দেখে না।' বৃদ্ধা ছেলের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বনগাঁ মহকুমা আদালতের আইনজীবী বিশ্বরূপ সিংহ বলেন, 'বৃদ্ধার সঙ্গে প্রতারণা করে ইংরেজিতে লেখা স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়ে তাঁর সম্পত্তি লিখিয়ে নিয়েছে ছেলে প্রণব দাস। বৃদ্ধা তাঁর ছেলে বৌমা-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পুলিশ প্রণব দাসকে গ্রেফতার করে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠালে বিচারক তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।'