হুগলি নদীর তীরে এই ঘাটটির নাম কাঙ্গালীঘাট। আর এই গঙ্গার পাড়ে বসবাস বহু মানুষের। বর্ষা আসতেই শুরু হয়েছে গঙ্গার ভাঙন। তার উপর বাধ সেজেছে আবহাওয়া। নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার ফলে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আর তার ফলে গঙ্গার জল বেড়েছে। ভেঙে পড়েছে ১৪ থেকে ১৫টি বাড়ি। মঙ্গলবার মাঝ রাতে হঠাৎ ভেঙে পড়ে তিন চারটি বাড়ি। রাত তখন বারোটা। সেই ঘরেই ঘুমিয়ে ছিল অসুস্থ বৃদ্ধা, শিশু, পরিবারের লোকজন। কোনও রকমে প্রাণে বাঁচে তারা।
advertisement
সারারাত বাইরে কাটাচ্ছে সকলে, কখন আবার বাকি ঘরগুলো ভেঙে পড়ে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় গারুলিয়া পৌরসভায়। পৌরসভা বিষয়টি নিয়ে সঙ্গেসঙ্গে তৎপর হয়। সালবলি পুতে গঙ্গা ভাঙন রোধে চেষ্টা চলছে, ফেলা হচ্ছে প্রচুর বালির বস্তা। কিন্তু তাতেও ভয় কাটছে না এলাকাবাসীদের। সালবুলি দিয়ে বাঁধ করতে গিয়ে নতুন বিপত্তি। ভারী কোনও বস্তু দিয়ে যখন কাঠের উপর মারা হচ্ছে, তার কম্পনে ভেঙে যাচ্ছে বাড়ির দেওয়াল, বড় বড় ফাটল ধরছে।
কী করবে বুঝে উঠতে পারছে না এলাকাবাসীরা। আপাতত তাদের কোনও জায়গায় পুনর্বাসন দেওয়া হোক, এমনটাই দাবি ভেঙে যাওয়া বাড়ির মানুষগুলোর। পৌরসভা আধিকারিকদের জিজ্ঞাসা করা হলে পুরপ্রধান রমেন দাস বলেন, বিষয়টি তিনি ডিএম এবং বিধায়ক তথা সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জানিয়েছেন। পৌর প্রধান বলেন, ”বিষয়টির দিকে আমরা নজর রাখছি।”