বিগত এক বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় স্বামীর চিকিৎসা করিয়েও বাঁচাতে পারেননি তাকে। গত এপ্রিল মাসে স্বামীকে হারিয়েছেন তিনি। আর মাত্র এক মাসের ব্যবধানে নিজের ১০ বছরের সন্তান ও দাদাকেও হারালেন অর্চনা। কীভাবে নিজেকে সামলাবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। অনবরত চোখের জল বাঁধ ভাঙছে তার। নিজের মুখেই তিনি বললেন সেই ভয়াবহ রাতের কথা।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘পৌঁছে ফোন দিও’, বাড়ির অমতে বিয়ে রোহিত-সুনীতার, অভিশপ্ত ট্রেনে শেষ সংসারের স্বপ্ন
ছোট শিশুটির মৃত্যু যেন মেনে নিতে পারছে না পরিবারের লোকজনসহ এলাকার মানুষেরা। পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন , অর্চনা পালের তিন সন্তান। দুই মেয়ে ও এক ছেলে। মাত্র এক মাস আগেই ১০ বছরের ছোট্ট সুমন তার বাবাকে হারিয়েছে। মায়ের চিকিৎসার জন্যই মা ও মামার সঙ্গে ভেলোরে গিয়েছিল। কেউ ভাবতে পারিনি সে আর ফিরে আসবে না।
আরও পড়ুন: ১ যুবক সহ তিন নাবালককে ঘরে আটকে এ কী করলেন তৃণমূল নেতা! তুঙ্গে বিতর্ক
সম্প্রতি, বালেশ্বরে ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। বহু পরিবারকে উজাড় করে দিয়েছে এই ট্রেন দুর্ঘটনা। প্রাণ গেছে বহু মানুষের। এখনও অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদেরই মধ্যে একটি পরিবার পুরুলিয়ার হুড়া থানার অন্তর্গত হাটতলা মোড় এলাকার পাল পরিবার। চিকিৎসা করাতে ভেলোরে গিয়েছিল এই পরিবারের সদস্যরা। তারপর ঘটে গেল এই মর্মান্তিক ঘটনা। ট্রেন দুর্ঘটনায় অর্চনা পাল চিরতরে হারিয়ে ফেললেন দাদা ও ছেলেকে।
——শমিষ্ঠা ব্যানার্জি