আড়শা , পুরুলিয়া , শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি : তিনি একাই যেন ১০০। ছাত্রছাত্রী পড়ানো থেকে শুরু করে মিড ডে মিলের খাওয়ের মান নির্ণয়। সবটাই একা হাতে সামলান একজন শিক্ষক। সেই একজন শিক্ষক দিয়েই চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। মিড ডে মিলের রান্না থেকে শুরু করে স্কুলের দরজা খোলা, পঠনপাঠন সবই সামলাচ্ছেন একজন মাত্র শিক্ষক। ঘটনা পুরুলিয়ার আড়শা ব্লকের হেঁটজারি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের। শিশু শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত চলে এই স্কুল। ছাত্র-ছাত্রীর ১৮৪ জন। এত সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্ত দায়িত্ব রয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের উপরেই। এলাকার ক্ষুদে পড়ুয়াদের ভরসার এই স্কুলটি। কারণ, অন্যান্য বিদ্যালয়ের দূরত্ব কয়েক কিমি।
advertisement
এ বিষয়ে এই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পবন দাস বলেন, তিনি একাই ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ান। এছাড়াও, মিড ডে মিলের দায়িত্বও সামলান। কখনও কখনও তাঁর একার পক্ষে সবটা সামলাতে সমস্যায় পড়তে হয়। এক ক্লাসের পড়াশোনা চালিয়ে সঙ্গে সঙ্গে অন্য ক্লাসে ছুটতে হয়। তাই যদি এই বিদ্যালয় আরও শিক্ষক আসে তাহলে অনেকটাই উপকার হবে।
এ বিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) কানাইলাল বাঁকুড়া বলেন, জেলার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই একজন শিক্ষক শিক্ষিকা দিয়ে পঠনপাঠন চলছে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করা হবে। বিদ্যালয়গুলোতে স্থায়ী ভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
পুরুলিয়ার আড়শা ব্লকের হেঁটজারি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয় এলাকার পড়ুয়াদের ভরসা। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একা হতেই গড়ে তুলছেন ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ।