একা হাতে বারুইপুরের পুরন্দপুরের মহাশ্মশানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বছর ২৯-এর এই মহিলা ডোম। নাম নথিভুক্ত থেকে চুল্লিতে ঢোকানো পর্যন্ত সবটাই নিজের দায়িত্বের পালন করেন। তিনি ২০১৪ সালে বাবাকে হারান তিনি তারপরেই সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁধে বাড়ির বড় মেয়ে সংসার সামলাতে কিছু না ভেবেই যোগ দেন বাবার চাকরিতে।
কল্যাণপুর অঞ্চলের পুরন্দরপুরেই তাঁর বাড়ি ছোট বোন মা ও ভাইকে নিয়ে তাঁর সংসার। সেই সংসার বাঁচাতে কোনও ভয়-ভীতিকেই মনে আমল দেননি টুম্পা। কর্তব্যে অবিচল থেকে সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দেহ সৎকার করে চলেন তিনি। মাসিক বেতন সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। এখন শ্মশানে বসেছে ইলেকট্রিক চুল্লি। তার আগে কাঠের চুল্লিতেই হতো শেষকৃত্য।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতায় ধেয়ে আসছে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি! ভিজবে আরও ৪ জেলা, আবহাওয়ার বড় খবর
সেই অভিজ্ঞতা রয়েছে টুম্পার। তাঁর কথায়, ‘কোনও কাজই কঠিন বলে ভাবেনি বাবা মারা যাওয়ার পর ভেবেছি সংসারকে বাঁচাতে হবে তাই যে করেই হোক এই কাজ করতে হবে। প্রথম প্রথম একটু ভয় লাগতো পরে এখন আর হয় না পরিস্থিতিও সময় থেকেই শিখেছি। মরা মানুষের থেকে জীবিত মানুষকে নিয়ে ভয় বেশি!’
আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে ভোটে লড়া প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী, স্টেজ ফোর ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন! ফের শুরু কেমোথেরাপি
বেপরোয়া মনোভাবের এই টুম্পা জানিয়ে দিলেন সব প্রতিকূলতা মানিয়ে নিয়েছেন এখন শ্মশানের ভিতর বেশি সুরক্ষিত বলে মনে করছে এই টুম্পা। একাধিক সম্বন্ধ এসেছে বিয়ের কিন্তু তাঁর কাজ সম্পর্কে জেনেই অনেকেই পিছুপা হয়ে যান। তাতেও তাঁর কোনও কষ্ট নেই টুম্পার। কারণ দিনের শেষে সংসার সংগ্রামে তিনি জয়ী হন। রাজ্যের একমাত্র মহিলা ডোম হিসেবে তাঁর একটাই আবেদন, যদি এই কাজটা সরকার স্থায়ী করে দেয় তাহলে তিনি আস্বস্ত হবেন।