এর আগে মণি নদীর পূর্ব পারে জটাতে প্রত্নস্থলের খোঁজ মিলেছিল। সেক্ষেত্রে পশ্চিম পাড়েও প্রাচীন সামগ্রী মেলায় নতুন সম্ভাবনা উঠে এসেছে। উদ্ধার হওয়া সামগ্রীগুলি কুষাণযুগ অথবা গুপ্ত যুগের সমসাময়িক বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হলদিয়ায় রাজ্য সড়কের উপর একা দাঁড়িয়ে আড়াই বছরের শিশু! কে সে? পরিচয় সামনে আসতেই তোলপাড় এলাকায়
advertisement
স্থানীয় এক ব্যক্তির পুকুর কাটার সময় এই সামগ্রী গুলি উঠে এসেছে। সেখান থেকে পাওয়া গিয়েছে কিছু দাঁত, হরিনের শিং, হাড়। বাইসনের হাড় থাকার সম্ভবনাও রয়েছে। যা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। বাইসনের হাড়ের স্পেসিমেন মিললে তা সুন্দরবন গবেষনার নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। কারণ এই এলাকায় বাইসন পাওয়া যায়না। এছাড়াও পাওয়া গিয়েছে পোড়া মাটির সামগ্রী।
এ নিয়ে রনজিৎ দেবনাথ জানিয়েছেন, “রায়দিঘির কুমড়োপাড়ায় পুকুর কাটতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে মধ্যযুগ থেকে গুপ্ত যুগ পর্যন্ত চলতে থাকা একটা অবিচ্ছিন্ন বসতির প্রত্নাবশেষ। কিছু কিছু সময় মনে হয়েছে এটা সমাধিক্ষেত্র হলেও হতে পারে।
অজস্র মাটির ধূসর, কালো, লাল, ঝুড়ি ছাপ,পাত্রের পাশাপাশি,বড় বড় ইট উঠে এসেছে। উঠে এসেছে হরিণ ও বুনো মহিষের শিং, দাঁত ও হাড়। তবে এখানে মাটির স্তর দেখে মনে হয়েছে এখানে কোনোও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সমস্ত কিছু ওলটপালট হয়ে গিয়েছিল। এই আবিষ্কার সুন্দরবনের প্রত্ন গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন দিনের উন্মোচন করবে।”
—- নবাব মল্লিক