আরও পড়ুনঃ মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে থেঁতলে খুন ভারসাম্যহীন ছেলের, তুমুল আলোড়ন লক্ষীকান্তপুরে
প্রধানমন্ত্রী দেবরিমা বারিক, উপপ্রধানমন্ত্রী মিতালী হাজরা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী শুভদীপ বেরা। এভাবেই এক একজন মন্ত্রী রয়েছে। রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীও। এরা কেউ দেশ বা রাজ্যের মন্ত্রী নয়, এরা এই রাজ্যেরই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী। বিদ্যালয়কে সুন্দর থেকে সুন্দরতর করবার প্রয়াসে এরাও শপথ নিয়েছে। এমনই মন্ত্রীসভা দিয়ে বিদ্যালয়ে চালানোর ছবি উঠে এলো, পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের চাউলকুড়ি পঞ্চায়েতের আশাপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
advertisement
এই বিদ্যালয়কে একটি দেশ হিসেবে ধরা হয়। প্রতিটি শ্রেণি এক একটি রাজ্যের মত। প্রতিটি শ্রেণির জন্য আছে মুখ্যমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী। শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষাবর্ষের শুরুতে হয় শিক্ষার্থী পরিষদ। এক বছরের এই ক্ষমতা নিয়ে, শিক্ষার্থী পরিষদ চালায় বিদ্যালয়কে। সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সমস্ত কাজের দায়িত্ব সামলায় কচিকাঁচারাই। বিদ্যালয়ের সাফাই, প্রার্থনা থেকে প্রতিটি ক্লাসের পরে কিংবা টিফিন ও ছুটির সময় ঘন্টা দেয় দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কোন সমস্যা বুঝলে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেয় অন্যান্য দফতরের মন্ত্রীরা। গুরুত্ব বুঝে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেয় প্রধানমন্ত্রী।এভাবে একটি দেশ চালানোর মতো বিদ্যালয় চলে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায়।
শিশুদের মধ্যে সামাজিক চেতনা, মন্ত্রিসভার গঠন এবং বিভিন্ন দায়িত্ব সামলানোর ক্ষমতার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। যা আগামীতে এই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এগিয়ে দেবে। এই মন্ত্রিসভায় নেই কোন দলাদলি, নেই কোন দুর্নীতি, নেই কোন প্রতিশ্রুতিও। তবে প্রতিদিন নিষ্ঠা ভরে কাজ করে কচিকাঁচা মন্ত্রীরা। এই বিদ্যালয়ের পরিচালনা দেখে অন্যান্য বিদ্যালয় এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষ অনুপ্রাণিত হবে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
Ranjan Chanda