কালনার মিষ্টি ও সন্দেশের সুনাম দেশ ও বিদেশে বেড়েই চলেছে। এই মিষ্টি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ছানার আড়ত। দুটি বিশাল ছানার আড়ত রয়েছে এখানে। ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে যত মিষ্টির দোকান তারা সবাই এই আড়ত থেকে ছানা সংগ্রহ করে।
আরও পড়ুন- বৃষ্টির ঘাটতি, আমনে লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারল না রাজ্যের শস্যভান্ডার
advertisement
বর্ধমান, হুগলি, নদিয়ার কয়েকশো ছানা ব্যবসায়ী তাঁদের ছানা নিয়ে আসেন প্রতিদিন। ছানা ব্যবসায়ী ও মিষ্টির দোকানদারদের সামনে রেখে ছানার নিলাম হয়। প্রতিদিন বাজার ওঠানামা করে। চাহিদা ও যোগান অনুযায়ী দাম ওঠানামা করে। সেই বাজার অনু্যায়ী প্রত্যেক দিন মিস্ত্রি ব্যবসায়ীরা ছানা কেনেন আড়ত থেকে। এই ছানার বাজারের ওপর নির্ভর করে কয়েক হাজার পরিবারের রুজিরুটি চলে। এখানে প্রতিদিন হাজারের কাছাকাছি ছানা ব্যবসায়ী বা ছানা প্রস্তুতকারক উৎপাদিত ছানা নিয়ে আসেন। সেই ছানা কিনে নিয়ে যান মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারকরা।
ছানার ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই ব্যবসার কোনও নিশ্চয়তা নেই। আজ বাজার আছে কাল নেই। জোগান বেশি হলে দাম কমে যায়। কারণ যত সময় যায় ততই ছানা খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই এই ছানা দ্রুত বিক্রি করে দিতে চান কারবারিরা। তাই ছানা সংরক্ষণের জন্য সরকারি উদ্যোগ খুব প্রয়োজন। তাতে ছানার মান ভাল থাকবে, উপকৃত হবেন ছানা প্রস্তুতকারীরা।
শরদিন্দু ঘোষ
