জানা গিয়েছে, বাগদা থানার অন্তর্গত বাসঘাটা এলাকা থেকে মহাদেব মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির দেহ শ্মশানে আনা হয় দাহকার্যের জন্য। পরিবারের দাবি, মহাদেববাবু একাই বাড়িতে থাকতেন। তাঁর তিন ছেলে ভিনরাজ্যে কর্মরত। প্রতিবেশীরা দেখতে পান, ঘরে শুয়ে আছেন মহাদেব মণ্ডল। ডেকে কোনও সাড়া না মেলায় পরিবার ধরে নেয়, তিনি মারা গিয়েছেন। স্থানীয় এক চিকিৎসকের সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে বরফে রেখে রাতে দেহটি দাহের উদ্দেশে শ্মশানে নিয়ে আসা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যের ৮ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের জট কাটল, যাদবপুরে চিরঞ্জীব-কলকাতায় আশুতোষ! বাকি আরও ৭
কিন্তু শ্মশানে পৌরসভার কর্মীদের চোখে পড়ে একাধিক অস্বাভাবিক বিষয়। দেহে ক্ষতচিহ্ন এবং পচনের ছাপ দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। শ্মশানের কর্মী অজয় বিশ্বাস জানান, ‘দেহে বেশ কিছু ক্ষতচিহ্ন ও পচন দেখা যায়। বিষয়টি স্বাভাবিক মনে হয়নি। তাই আমরা কর্তৃপক্ষকে জানাই। পৌর প্রধানের নির্দেশে বনগাঁ থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়তেই পুলিশ দাহ বন্ধ করে দেহটি বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য।’
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ের সেই দুধিয়া ব্রিজ ভেঙে পড়ে! কবে হবে নতুন সেতু? টার্গেট ২০
পৌর প্রধান বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা সময় মতো ব্যবস্থা না নিলে হয়তো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আড়ালেই থেকে যেত। ময়নাতদন্তের রিপোর্টই এখন মুখ্য।’ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন, যে দেহটিকে পরিবার মৃত ভেবে দাহ করতে যাচ্ছিল, সেটি কি আসলেই স্বাভাবিক মৃত্যু, নাকি এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে আরও কোনও রহস্য! পুলিশ গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।
Rudra Narayan Roy