ধৃতকে বুধবার বারুইপুর মহাকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।ভোট পর্বে লাগাতার অশান্তি হয়েছে ভাঙড়ে। মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি হয়েছে। গুলি চলেছে। গত ১৫ জুন মনোনয়নের শেষ দিন ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় রাজু নস্কর ও রশিদ মোল্লা নামে ২ তৃণমূল কর্মীর। সেই ঘটনায় এবার এক আইএসএফ নেতাকে গ্রেফতার করল কাশিপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম ওহিদুল ইসলাম মোল্লা। কাঁটাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। আইএসএফের ভোগালী ২ নম্বর অঞ্চলের আইএসএফ এর অঞ্চল সভাপতি। পঞ্চায়েত সমিতিতে জিতেওছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
advertisement
তাঁকে ধরতে তাঁর বাড়িতে একাধিকবার পুলিশ অভিযান চালালেও ব্যর্থ হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে কাশিপুর থানার পুলিশ দত্তপুকুর থানাকে সঙ্গে নিয়ে আইএসএফ রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতির বাড়িতে হানা দেয়। আগেই থেকেই পুলিশের কাছে খবর ছিল যে সেখানেই লুকিয়ে রয়েছেন অভিযুক্ত। এরপর গতকাল রাতে বিশ্বজিৎ মাইতির বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন ওহিদুল ইসলাম মোল্লা।
আরও পড়ুন: বিজেপির টিকিটে জিতে তৃণমূলে, ভোটাররা বলছেন প্রতারক!
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই আইএসএফের জেলা পরিষদ প্রার্থী জাহানারা বিবির স্বামী তথা ভোগালী ১ নম্বর অঞ্চলের আইএসএফের অঞ্চল সভাপতি কারিমুল ইসলাম-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ভাঙড়ে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই।
ভোট মিটেছে তবে মেটেনি হিংসা, অশান্তি। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “ওনাকে ভোটের আগে থেকেই ভয় দেখানো হত। বলা হতো মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেব। জেতার পরও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আপনি কাজ করতে অপারগ’, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরাট নির্দেশ! বরখাস্তে তোলপাড়
পুলিশ একাধিকবার তাঁ৮র বাড়ি গিয়েছে। তল্লাশির নামে লণ্ডভণ্ড করেছে। ওনাকে অনৈতিকভাবে গ্রেফতার করেছে। এটা শুরু থেকেই হয়েছে।”
অপরদিকে, তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা জানান, “ওহিদুল সমাজ বিরোধী। ভাঙড়ে বোমা-গুলির সাপ্লাই করেন। আমি পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই ওনাকে গ্রেফতার করার জন্য। গতকাল রাত্রিবেলা বিশ্বজিতের বাড়ি থেকে ওকে গ্রেফতার করা হয়। আর ভাঙড়কে উত্তপ্ত করার পিছনে বিশ্বজিৎ অনেক বক্তৃতা দিয়েছেন। ভাঙড়ে অশান্তির পিছনে ওনারাই রয়েছেন।”