আজও স্ত্রীয়ের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে চোখের জল ফেলেন তিনি তবে তাঁর বিশ্বাস স্ত্রী মৌসুমী দে এখনও রয়েছেন তার সঙ্গে রয়েছেন ভারতবর্ষের হরিয়ানার গুরগাঁওতে এক ৩৬ বছরের যুবকের হৃৎপিণ্ড হয়ে।
২০২৪ সালের ২১ জুলাই একটি পথ দুর্ঘটনার কারণে, বেসরকারি চাকুরিজীবী তিমির কুমার দের স্ত্রী মৌসুমী দের ব্রেনে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপর এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসারত অবস্থায় ব্রেইন ডেথ হয়ে মারা যান তিনি। তখন থেকেই একা বেঁচে রয়েছেন তিমির কুমার দে, অসুস্থ মাকে নিয়ে করছেন লড়াই। স্ত্রীর মৃত্যুর পর হৃদপিণ্ড, কর্নিয়া এবং চামড়া দান করেন তিনি।
advertisement
হৃদপিণ্ডটি গুরগাঁও-এর একটি ছত্রিশ বছরের যুবকের দেহতে ট্রান্সপ্লান্ট করা হয় বলেই জানিয়েছেন তিমির কুমার দে। তিনি মনে করেন এভাবেই অন্য কারও হৃদয়ে বেঁচে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। এছাড়াও তিনি জানান যে কথার ছলে স্ত্রী মৌসুমী দে তিমির বাবুকে বলেছিলেন অঙ্গদান করার কথা। সেই কারণেই স্ত্রীয়ের ইচ্ছে পূরণ করেন তিনি।
ঘরের মধ্যে সব রয়েছে শুধু নেই তাঁর স্ত্রী, বৃদ্ধ মাকে দেখাশোনার পাশাপাশি, রান্নাবান্না এবং অন্যান্য সব কাজ করে থাকেন তিমিরবাবু একলাই, তাঁর সঙ্গে করেন স্ত্রীয়ের ফেলে যাওয়া স্মৃতি গুলির স্মৃতিচারণ। কথা বলতে বলতে চোখের জল ফেললেন তিমির বাবু, বললেন, “দৈহিকভাবে আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে না থাকলেও, তাঁর শক্তি রয়েছে। তাই হয়তো আমি এখনও সবকিছু করতে পারছি একা হাতে।”
আরও পড়ুন: ইচ্ছে থাকলে সব হয়! এক ডিএসপি’র প্রেরণা বদলে দিল জীবন, দোকানদারের ছেলে আজ রাজ্যের বড় প্রশাসনিক পদে
অঙ্গদান যে শুধুমাত্র একটি মহৎ কাজ সেটা নয়। অঙ্গদান সম্পর্কে সচেতনতা রয়েছে যথেষ্ট কম। সে কারণে তিমির বাবুর মত মানুষেরা সমাজের কাছে জ্বলন্ত উদাহরণ। আপনার অঙ্গ হয়ত নতুন জীবন দিতে পারে অন্য কারওকে। সেই কারণে, রক্তদানের পাশাপাশি অঙ্গদান সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা একান্ত কাম্য।





