আরও পড়ুনঃ Law পড়ছেন? কীভাবে সরকারের আইনজীবী হবেন, বেতন কত? কী কী সুযোগ-সুবিধা পাবেন জানুন
জানা গিয়েছে, বাগদা ব্লকের প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় শতাধিক ব্যক্তি প্রতিবন্ধী না হয়েও বছরের পর বছর ধরে প্রতিবন্ধী ভাতা পেয়ে আসছেন। মোটা টাকার বিনিময়ে তাদের জাল প্রতিবন্ধী শংসাপত্র তৈরি করে দিয়েছেন ব্লকেরই কিছু কর্মী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এই বেনিয়মের বিষয়টি নিয়েই কয়েক মাস আগে গাইঘাটা এলাকার বাসিন্দা তপন মন্ডল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানান। তিনি জানতে চান, সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিবন্ধী শংসাপত্র সঠিক কিনা। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, দুই মাস পেরিয়ে গেলেও তাকে কোনও তথ্য জানানো হয়নি, বরং বাগদা ব্লক অফিস থেকে ফোন করে তাঁকে অফিসে দেখা করতে বলা হয়।
advertisement
বাগদা ব্লকের যুব মোর্চার সহ-সভাপতি দেবব্রত ঢালির আরও বিস্ফোরক অভিযোগ, বাগদা বিডিও অফিসের ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার শেফালী বিশ্বাস এবং তাঁর স্বামী সন্তোষ বিশ্বাস (সর্বশিক্ষা অভিযানের সুপারভাইজার) এই ভুয়ো ভাতা পাইয়ে দেওয়ার মূলচক্রী। তাদের মাধ্যমে সুস্থ সবল মানুষদেরও প্রতিবন্ধী হিসেবে শংসাপত্র তৈরি করে ভাতা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি, অভিযোগ অনুযায়ী, একাধিক পরিবারে তিনজন করে সদস্য এই ভাতা পাচ্ছেন। বাগদা ব্লকের যুব মোর্চার সহ-সভাপতি দেবব্রত ঢালি জানান, ফলে প্রকৃত প্রতিবন্ধীরা এই ভাতার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অভিযোগের আঙুল ওঠা শেফালী বিশ্বাস বলেন, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। তিনি শুধুমাত্র কাজ করেন, এর সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই যুক্ত নন।
বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, সেগুলিতে চিকিৎসকের স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে। এই শংসাপত্রধারীদের বেশিরভাগই বাগদার বাসিন্দা। যদিও এই বিষয়ে বনগাঁ হাসপাতালের সুপার কোনো মন্তব্য করতে চাননি। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরিতোষ সাহা জানান, যদি জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ হয়ে থাকে, তদন্ত হবেই। যাঁরা ভাতা পাওয়ার অযোগ্য, তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। এই ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় প্রশাসনিক মহলে। তদন্ত শুরু হলে আরও বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসীরা।
Rudra Narayan Roy