যশোর রোডের থেকে ৩০০ মিটার ভিতরে বারাসাত ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে এক ৭৮ বছরের বৃদ্ধা পাড়ার মুদি দোকান থেকে জিনিস কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় পথে একজন আচমকা এসে তাঁর গায়ে থাকা সোনার গয়না খুলতে বলেন। পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি জানান, কালীপুজোর সময় এইভাবে গায়ে সোনার গয়না পড়ে ঘুরছেন, যে কোনও সময় ছিনতাই হয়ে যেতে পারে তো। ভদ্রমহিলা প্রথম অবস্থাতেই কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও, পুলিশের বড়বাবু এমন কথা বলছেন শুনে বিষয়টি সত্যি ভেবে নেন।
advertisement
আরও পড়ুন: মহাভারতের কর্ণর চরিত্রে বিরাট জনপ্রিয়তা, হার মানলেন ক্যানসারের কাছে! প্রয়াত অভিনেতা পঙ্কজ ধীর
সেই সময়, পাশে আর একজন ভদ্রলোক গলায় সোনার চেন পরে সামনে আসলে, পুলিশ পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি তাঁকেও ধমক দেন। তখনই চেন খুলিয়ে, কাগজে মুড়ে পকেটে রাখতে বাধ্য করেন। তাঁর সোনার চেন খামের মধ্যে করে তাঁর পকেটে দিয়ে দেন ওই ব্যক্তি নিজেই। এমন পরিস্থিতি দেখে, বৃদ্ধা মহিলা পুলিশ পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তিকে হাতের সোনার বালা ও গলার চেন খুলে দেন। মহিলার সামনেই ওই ব্যক্তি একটি কাগজে গয়নাগুলি রেখে ব্যাগের মধ্যে ভরে দেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে বাড়ি ফিরে মহিলা কাগজের খাম খুলে দেখেন, তার মধ্যে তাঁর সোনার গয়না নেই।
আরও পড়ুন: পূর্বজন্মের প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে দেখা! বুঝবেন কী ভাবে? জ্যোতিষের এই ১০ লক্ষণই সব বলে দেবে
বদলে রয়েছে ঢিল ও ইমিটেশনের দুটি চুড়ি। আর ওই পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি এবং চেন খোলানো ওই ব্যক্তি দু’জনেই চম্পট দিয়েছেন এলাকা থেকে। ছেলে বাড়িতে আসলে পরে গোটা ঘটনার কথা জানান ওই বৃদ্ধা। এরপরই বারাসাত থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। প্রায় ৩৬ গ্রাম সোনা খোয়া গিয়েছে বলে পরিবারের তরফে অভিযোগ। কালীপুজোর আগে এমন ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Rudra Narayan Roy