আরও পড়ুনঃ চিকেন-ব্রকোলি-গাজর…! কলকাতা পুলিশের কুকুরদের রাজকীয় খাদ্যতালিকায় কী কী থাকে? চমকে ঠাসা রোজের মেনু
কিন্তু, সম্প্রতি নিম্ন আদালতে বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখার কাজ চলছিল। আর তাতেই দেখা গেল দু’বছর আগে আদালতে জমা দেওয়া ওই জামিনের আদেশনামা ভুয়ো অর্থাৎ জাল। মানে ওই বন্দি হাইকোর্টের নথি জাল করে নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। শুরু হল শোড়গোল। বিষয়টি মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি আদালতের ঘটনা। খুনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি লালু শেখ সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে আসতে হাইকোর্টের নথি জাল করে কান্দি আদালতে পেশ করে জামিনে মুক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। হাইকোর্ট সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই নির্দেশ পাওয়ার পর কান্দি থানায় বুধবার এফআইআর করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি।
advertisement
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানা এলাকার হরিশ্চন্দ্রপুরে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় আশরফ শেখ নামে এক যুবকের।এই ঘটনায় খুনের মামলা শুরু হয়। গ্রেফতার করা হয়েছিল লালু শেখকে। ২০১৮ সালে জানুয়ারি মাসে কান্দি আদালত লালুকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেয়। সাজা ঘোষণার দু’বছর পর ২০২১ সালে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে কান্দি আদালতে নথি পেশ করে লালু আবেদন করেন যে তাতে কলকাতা হাইকোর্ট জামিন দিয়েছে। সেই নথি দেখে নিম্ন আদালত লালুর জামিন মঞ্জুর করে দেয়। কিন্তু দুবছর পর জানা গেল ওই নথি জাল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, ওই জাল নথি কোথা থেকে তৈরি করা হয়েছিল? কান্দি আদালতে কে ওই নথি দাখিল করেছে, সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সিআইডি সূত্রে খবর।