'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সরকারি পরিষেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই অনুকরণে বীরভূম জেলা পুলিশের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল 'দুয়ারে থানা' কর্মসূচি। যাতে মানুষজন তাদের অভিযোগ সেখানে অকপটে জানাতে পারেন৷
advertisement
এবার তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের(Anubrata Mandal) গড়ে 'দুয়ারে সিঁদুর খেলা' নামে অভিনব কর্মসূচি নিল তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের আগে এই কর্মসূচি মাধ্যমে জনসংযোগ বৃদ্ধি করা যাবে৷ পাশাপাশি সরকারের ঘোষিত প্রকল্প গুলির সুবিধা মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে৷
এদিন বোলপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সমর্থিত মহিলারা মিছিল করে বাড়ি বাড়ি ঘোরেন৷ বাড়ির মহিলাদের সিঁদুর মাখিয়ে এই নতুন কর্মসূচি পালন করেন৷ এছাড়াও, তাদের হাতে অনুব্রত মণ্ডলের পুরনো নিদান অনুযায়ী নকুলদানা দেওয়া হয়৷
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহিলা নেত্রী তপতী মণ্ডল বলেন, "মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে দুয়ারে সিঁদুর খেলা কর্মসূচি নিয়েছি আমরা৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের(Anubrata Mandal) হাত শক্ত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।"
উপনির্বাচনের আগে এই কর্মসূচি রাজ্যের শাসক দলকে বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী, দুয়ারে সরকার থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার, এই সমস্ত প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের বেশি সংখ্যকই মহিলা ভোটার। ফলত মহিলা কেন্দ্রিক জনসংযোগ অনেকটা বেশি প্রভাব ফেলে, মত রাজনৈতিক মহলের। উপনির্বাচনের প্রাক লগ্নে তৃণমূল এই প্রকল্প চালানোয় বেশ সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের সময় 'বাংলা নিজের মেয়েকে চায়' প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যালটের লড়াইয়ে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল। রাজ্যের মহিলা ভোটারদের হাত ধরেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে ফের বাংলা দখল করেছে তৃণমূল, এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের। পরবর্তীকালে 'ভবানীপুর নিজের মেয়েকে চায়' ক্যাম্পেনও চালানো হয়। দুয়ারে সিঁদুর প্রচার যে উপনির্বাচনেও ফারাক দেখতে পারে ভোটবাক্সে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
ইন্দ্রজিৎ রুজ