আরও পড়ুনঃ দুধ দেখলেই বাচ্চার বমি পায়? ‘milk-biscuit syndrome’ নেই তো? বকাবকি না করে ডাক্তারের কাছে ছুটুন
এই নদীর জলের উপর নির্ভর করে একাধিক কারখানার উৎপাদন। কিন্তু কালীপুজোর আগে থেকে ব্যাপকভাবে জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। তাতেই কার্যত শুকিয়ে গিয়েছে দামোদর। অভিযোগ, ডিভিসি কর্তৃপক্ষ যে পরিমাণ জল ছাড়ছে, তা পর্যাপ্ত নয়। আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানিয়েছেন, কালী পুজোর পর থেকেই ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে বারবার জল ছাড়ার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে। কিন্তু তাতে কর্তৃপক্ষ কোনও কর্ণপাত করেনি বলেই অভিযোগ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে মেয়রের অভিযোগ, যখন জল না ছাড়ার জন্য তাদের কাছে অনুরোধ করা হয়, তখন হুহু করে জল ছাড়া হয়।
advertisement
কিন্তু এখন একেবারে জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন যে পরিমাণ জল দেওয়ার কথা, তা দেওয়া হচ্ছে না বলেই তার অভিযোগ। যদিও আসানসোল দক্ষিণের বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল বলছেন, ডিভিসির যে পরিমাণ জল ছাড়ার কথা, সেই পরিমাণ জল ছাড়া হচ্ছে। উল্টে তার দাবি, নদী পরিষ্কার করানোর ব্যবস্থা হোক। তাহলেই শহরের বিভিন্ন পাম্প হাউসে জল পৌঁছে যাবে।
আরও পড়ুনঃ ১টি পাতাতেই কিস্তিমাত ইউরিক অ্যাসিডের! গোড়া থেকে নির্মূল করবে গাঁটের ব্যথা-যন্ত্রণা
কিন্তু কেন ডিভিসি কর্তৃপক্ষ জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়েছে? এই বিষয়ে কয়েকদিন আগেই ডিভিসির এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, জলাধারে যে পরিমাণ জল রয়েছে, সেই জল আগামী এপ্রিল, মে মাস পর্যন্ত চালাতে হবে। নয়তো তীব্র জল সংকট হতে পারে। তাই নিয়ম মেনে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হয়েছে। কিন্তু শুকিয়ে যাওয়া দামোদরের এই রূপ দেখে ভয় বাড়ছে শহরজুড়ে।
নয়ন ঘোষ