প্রতিবছর বন্যায় শিলাবতী নদীর জলের তোড়ে একটু একটু করে নদী পাড় ধসে গিয়ে বহু বসতবাড়ি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। বর্তমানে চৈতন্যপুর গ্রামে ৫০০-৬০০ পরিবারের বসতি ঠেকেছে। গ্রামের গা বেয়ে বয়ে চলা শিলাবতী নদীর ভাঙনের জেরে অনেকেই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দিয়েছে। সেই বাম আমল থেকেই নদী বাঁধ ভাঙনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করে এসেছে এলাকাবাসী কিন্তু ভাঙন ঠেকাতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি সরকার এমনটাই দাবি বাসিন্দাদের। এবারও পরপর চারটি ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছে চন্দ্রকোনার এই চৈতন্যপুর এলাকা।
advertisement
আরও পড়ুন: শেষ হল একটা যুগ, 'দেব'-হীন হল সিপিএম!
বর্তমানে নদীর জল কমলেও এখনও অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে নদীর ধারে ঝুলে থাকা বাড়ি আগলে বসবাস করছে। দীর্ঘ বছর পর অবশেষে চৈতন্যপুর এলাকায় সেচ দফতরের উদ্যোগে কাঠের বল্লি ও বালি বস্তা দিয়ে নদী ভাঙন রোধে পাড় মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। ৪৫০ মিটার শিলাবতী নদীর পাড় মেরামতের জন্য প্রায় ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর।বহু বছর পর সরকার নদী ভাঙন রোধে উদ্যোগী হওয়ায় খুশি হলেও তা আদেও কতটা কার্যকর হবে ভাঙন রোধে তা নিয়ে সংশয়ে এলাকাবাসী থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যও।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীতে 'রঙিন' প্রতিবাদ, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই পালন বসন্ত উৎসব!
এলাকাবাসীর দাবি, বহু বছর ধরে এই নদীর পাড় ধসে গভীর খাদে পরিণত হয়েছে তারউপরেই রয়েছে একাধিক বসতবাড়ি, শুধু কাঠের বল্লি আর বালি বস্তা দিয়ে তা ঠেকানো যাবেনা। বর্ষায় নদীর জলের যা স্রোত থাকে এতোটাকা খরচ করেও বৃথা যাবে বলেই দাবি এলাকাবাসীর। তাদের দাবি, নদী ভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ীভাবে কংক্রিট বাঁধ দিতে হবে। এ বিষয়ে ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ জানান,"এবারে পরপর চারটি বন্যা হয়েছিল যার জেরে নদী বাঁধগুলি সম্পুর্ন বিপর্যস্ত হয়েছিল।সেচ দপ্তরের পাশাপাশি ব্লক প্রশাসন একশো দিনের কাজে বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে।প্রাকৃতিক ভাবে নদী বাঁধ ভাঙন রোধে ভেটিভার ঘাসও লাগানো হয়েছে।আর গ্রামবাসীর যে দাবি কংক্রিট বাঁধ মেরামতের তার জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবো।" এখন দেখার বর্ষার মরসুম এলে বন্যায় কতটা কার্যকরী হয় লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে সেচ দফতরের এই নদী পাড় মেরামতের কাজ।
সুকান্ত চক্রবর্তী