এই ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে সালার থানার পুলিশ। বুধবার ধৃতদের কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। জেলা পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিং বলেন, চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও কয়েকজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে। গ্রামে পুলিশি টহলদারি বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সালার থানার কাগ্রাম অঞ্চলের ডাঙাগ্রামে আর এস পি প্রার্থী সাজিদা বেগমকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করছিলেন আর এস পি প্রাক্তন বিধায়ক ঈদ মহম্মদ সহ নেতৃত্বরা। সেইসময় এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি চলে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকটি বাড়িতেও বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। একাধিক বাড়ির জানলার কাঁচ ভেঙে যায়। যদিও কেউ আহত হয়নি। তবে ঘটনার জেরে এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
advertisement
আরও পড়ুন: ভোররাতে হাওড়ার বহুতলে এ কী কাণ্ড, দলে-দলে রাস্তায় নেমে এল মানুষ! আঁতকে ওঠার মতো ঘটনা
গ্রামবাসী গোলাম কুদ্দুস বলেন, আমি বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ বাড়ির বাইরে বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। বেড়িয়ে দেখি একের পর বোমা পড়ছে। আমার বাড়ির জানলার সব কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। আমি ক্ষতিপূরন চাই। গ্রামবাসী মিলনি বিবি বলেন, রাতে আমার বাড়িতে কেউ ছিলনা। আর তখনই বাড়ির সামনে বোমাবাজি শুরু হয়। আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। আমরা নিরাপত্তা চাই। আর এই ঘটনায় তৃণমূল ও আর এস পির অভিযোগ একে অপরের বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থী ফারুক সেখ বলেন, পরিকল্পিতভাবে এলাকার বোমাবাজি করা হয়েছে। আমাকে ও তৃণমূল কর্মীদের খুনের পরিকল্পনা করেছিল আর এস পির দুষ্কৃতীরা। আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: ভোটে নজর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে, শাসক-বিরোধী সকলের মুখে এখন একই কথা!
আর এস পি নেতা গোলাম মোওলা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রার্থীকে নিয়ে ভোটের প্রচার করছিলাম। তখনই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি করতে শুরু করে। কোনওরকমে পালিয়ে এসে আমরা প্রাণে বাঁচি। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।