প্রত্যেকদিন মা তারার দর্শনের জন্য হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় করেন তারাপীঠ মন্দির চত্বরে। বীরভূমের রামপুরহাট স্টেশনে নেমে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তারাপীঠ মন্দির। অন্যদিকে, তারাপীঠ স্টেশন থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
advertisement
তারাপীঠে যে শুধুমাত্র তারা মায়ের দর্শন হয় সেটা নয়। এছাড়াও রয়েছে বীরচন্দ্রপুর এবং সাধক বামাক্ষ্যাপার জন্ম ভিটে আটলা গ্রাম।যেহেতু জনপ্রিয় তীর্থস্থান তারাপীঠে প্রত্যেকদিন হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে, সেই কারণে অনেক ভক্ত মনে করেন যে তারাপীঠ আসলে একদিকে যখন হোটেল ভাড়ার খরচা, তেমনই রয়েছে খাবারের খরচা।
তবে তা একেবারেই নয়। মাত্র ৩০ টাকার বিনিময়ে আপনি সবজি-ভাত খেতে পারবেন তারাপীঠে। তারাপীঠ থানার সামনে এবং তারাপীঠ টিকিট কাউন্টারের ঠিক পেছনে অবস্থিত ভূতন পিসির রান্নাঘর। সেখানে মাত্র ৩০ টাকার বিনিময়ে আপনি পেয়ে যাবেন ভাত, ডাল, দুই রকমের সবজি এবং চাটনি। যদি আপনি তার সঙ্গে ডিম খেতে চান, আপনাকে দিতে হবে ৪০ টাকা এবং মাছ খেতে চাইলে দিতে হবে মাত্র ৫০ টাকা।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের মর্গে সারি সারি দেহ, বিমান বিস্ফোরণে মুখ ঝলসে চেনা দায়! DNA পরীক্ষায় শনাক্তকরণ
পরবর্তীতে আপনি যদি আবার ভাত নেন তাহলে দিতে হবে মাত্র ১০ টাকা। তবে প্রথমেই যে পরিমাণ ভাত দেয়, তারপর আর ভাত নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তিনি জানান, দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি সাধারণ মানুষকে ৩০ টাকার বিনিময়ে খাবার খাইয়ে আসছেন। সকাল ছয়টা থেকে দুপুর দুটো অবধি তার এই রান্নাঘর খোলা থাকে। শুধু ৩০ টাকায় সবজি ভাত খাওয়াচ্ছেন সেটা নয়, কেউ যদি তার কাছে অর্ডার দিয়ে কোনও রান্না করাতে চান, তিনি সেটাও করে দিচ্ছেন সকলের জন্য। প্রায় কুড়ি বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে একা হাতে সামলাচ্ছেন এই দোকান।
প্রথমে সবজি ভাতের দাম ছিল মাত্র ২০ টাকা তবে জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে সেই সবজি ভাতের দাম হয় ২৫ টাকা এবং তারপরে ৩০ টাকা। তারাপীঠে আগত এক দর্শনার্থী জানান তিনি প্রত্যেক বছর প্রায় ৫ থেকে ৬ বার তারাপীঠ আসেন আর তারা মায়ের পুজো দেওয়ার পর তিনি এই রান্নাঘরের খাবার খেয়ে তারপরে ফিরে যান নিজের বাড়ি। স্বল্পমূল্যের খাবার হলেও স্বাদে কিন্তু সেই খাবার অতুলনীয়। একদম বাড়ির খাবারের মতো স্বাদ পাওয়া যায়।
সৌভিক রায়