চাল, ডাল, তেল, সবজি, কসমেটিক্স, পোশাক থেকে শুরু করে মাছ-মাংস—সবই রয়েছে এখানে। বিশেষ আকর্ষণ রবিবারের খাসির মাংস, যা বাজারে ৮৫০ টাকা হলেও এখানে ৫৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। সকলের সামনেই মাংস কাটার ফলে মান নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বসিরহাট ও টাকি শহরের মাঝামাঝি অবস্থিত এই হাটের কারণে মধ্যমপুর স্টেশনে যাত্রীসংখ্যা বেড়েছে। টোটো চালকদের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং এলাকায় অর্থনৈতিক চিত্র বদলেছে। গরীবের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত ও সচ্ছল মানুষও এখন এখানে বাজার করতে আসছেন।
advertisement
স্থানীয়দের দাবি, ঘোষ বাড়ির গরীবের হাট চালু হওয়ায় আশপাশের বাজারগুলিতেও নিত্যপণ্যের দামে নিয়ন্ত্রণ এসেছে। পাশাপাশি এখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা ও ওষুধে ২২–৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়, যা দরিদ্র মানুষের কাছে বড় স্বস্তি। ঘোষ বাড়ির সদস্য প্রবীর ঘোষ জানান, “আমরা সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে পণ্য কিনে বিক্রি করি, মাঝখানে কোনও দালাল নেই। তাই কম দামে বিক্রি সম্ভব হয়েছে।” ভবিষ্যতে এই হাটের পরিসর আরও বাড়ানো ও নতুন সামাজিক পরিষেবা চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানান তিনি। সব মিলিয়ে ঘোষ বাড়ির গরীবের হাট এখন বসিরহাট–টাকি এলাকার মানুষের প্রিয় বাজার ও নতুন আকর্ষণ।





