অভিযোগ, যিনি এতদিন এলাকার মানুষের 'কাছের মানুষ' 'কাজের মানুষ' ছিলেন আজ তিনি দূরের মানুষ হয়ে গিয়েছেন। কোনও প্রয়োজনে বিধায়ককে আর না পাওয়ার অভিযোগ স্থানীয় তৃনমূল নেতা-কর্মীদের। বিধায়কের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ তুললেন সিমলাপাল কোর কমিটির চেয়ারম্যান নিখিল সিংহ মহাপাত্র।
আরও পড়ুন : চোখ কেন কাঁপে জানেন? কোন চোখ কাঁপলে কী হয়? শুভ–অশুভ কীসের ইঙ্গিত দেয় 'চোখ'!
advertisement
অভিযোগ, সামান্য বিধায়ক সার্টিফিকেটের জন্য সাধারণ মানুষ স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের ছুটে যেতে হয় ৩০ কিলোমিটার দূরের বিধায়কের বাসভবন বাঁকুড়ায়। কারণ কার্যালয়ে তাঁর দেখা মেলে না কখনোই।
যদিও বিধায়কের দাবি, আমি সিমলাপালে অফিস করিনি। যারা করেছিলেন আসলে তারাই মুছেছেন নাম। বিধায়কের কি দায়িত্ব তা আমাকে কারও কাছ থেকে শিখতে হবে না। তা আমি জানি ভালো করেই।
অন্যদিকে, সুযোগ পেয়ে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দল বিজেপি। তির্যক নানা মন্তব্যে শাসকদলকে নিশানা করেছে বিরোধী গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন : পথের কাঁটা খোদ রাজ্যপাল! বিধায়ক হিসেবে তাঁর শপথে 'দেরি' নিয়ে মুখ খুললেন বাবুল সুপ্রিয়
প্রসঙ্গত, তালডাংরা হল রাজ্যের বাঁকুড়া জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ২০২১ সালে এই কেন্দ্রে জেতেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। ভারতীয় জনতা পার্টির শ্যামল কুমার সরকারকে ১২৩৭৭ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন সিপিএমের মনোরঞ্জন পাত্র। এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী সুভাষ সরকার জয়লাভ করেন বাঁকুড়া লোকসভা আসন থেকে। পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী।
প্রিয়ব্রত গোস্বামী