ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের সভাপতি সুজয় হাজরার তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে শ্রীমতি দেবী কোলে নামক ওই মহিলা কর্মীকে৷
সেই চিঠির বিষয়ে লেখা রয়েছে, ‘দল বিরোধী কাজের জন্য কারণ দর্শানোর নির্দেশ ’৷ চিঠিতে লেখা, ‘৩০জুন ২০২৫ তারিখে আপনি প্রকাশ্যে রাস্তায় যে অশালীন এবং অশোভনীয় কাজ করেছেন এবং নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে একজন বয়স্ক মানুষকে হেনস্থা করেছেন তাতে দলের ভাবমূর্তি যথেষ্ট আঘাত পেয়েছে। দল কোনমতেই এই রূপ দূর্বিনীত কাজ সমর্থন করে না। এবং ইতিমধ্যেই আপনার বিরুদ্ধে খড়গপুর টাউন থানায় দলীয় ভাবে এফআই আর রুজু হয়েছে ।FIR No—311/25 ৷ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য আপনাকে আগামী তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’
advertisement
আরও পড়ুন: পুলিশের হাতে এবার জাইবের CCTV ফুটেজ! ঘটনার মাঝেই কলেজের বাইরে…মিলিয়ে দেখা হচ্ছে সব
তৃণমূল নেতৃত্বের কথায়, দেবী কোলের এই ভাবে প্রবীণ ব্যক্তিকে আক্রমণ করার ঘটনায় তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে৷ সেই কারণে তাঁকে শো কজ করেছেন নেতৃত্ব৷ দেবী কোলের তরফে অবশ্য এ প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷
ব্যস্ত রাস্তার উপরে সিপিএমের প্রাক্তন এক প্রবীণ নেতাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের দেবী কোলে নামক স্থানীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে৷ রাস্তার উপর ফেলে কিল, চড়, ঘুষি এমন কি, ওই প্রবীণকে জুতোপেটাও করেন তৃণমূলের ওই নেত্রী৷ শুধু মারধর নয়, ওই বৃদ্ধ একটি রংয়ের দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানে ঢুকে তাঁর গায়ে রং ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে৷ সোমবার সকালে এমনই নির্মম দৃশ্যের সাক্ষী থাকল খড়্গপুর৷ যদিও সেই সময় রাস্তায় প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে এই ঘটনা মোবাইল বন্দি করলেও ওই বৃদ্ধকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি কেউ৷ দেখা মেলেনি পুলিশেরও৷ ইতিমধ্যেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে৷
যদিও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও৷ পুলিশ যাতে এই ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়, সেই দাবিও করেছেন খড়্গপুরের প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ দাস৷ ইতিমধ্যেই খড়্গপুর টাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রহৃত বাম নেতা অনিল দাসও।
রেলশহর খড়্গপুরের প্রতিবাদী মুখ তথা ‘আমরা বামপন্থী, খড়্গপুর’ সংগঠনের সম্পাদক অনিল দাস ওরফে ভীম দা-কে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেত্রী দেবী কোলের বিরুদ্ধে। নিজেকে বাঁচাতে রাস্তার পাশে একটি রংয়ের দোকানে আশ্রয় নিলে, সেই দোকানের রংয়ের বালতি দিয়েও আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার সকালে খড়্গপুর শহরের খরিদা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
অনিলবাবুর দাবি, দিন কয়েক আগে খরিদা এলাকায় তাঁর বাড়ির পাশের এক মহিলার (দুর্গা সাহুর) বাড়ির দেওয়াল ভেঙে দিয়ে এবং শৌচাগার বন্ধ করে দিয়ে অত্যাচার চালাচ্ছিলেন তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে। এর পরই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং ওই মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে খড়্গপুর টাউন থনায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বেবি কোলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দুর্গা সাহু। সেই ঘটনারই প্রতিশোধ নিতে এদিন সকালে তিনি যখন খরিদা বাজার থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন, সেই সময়ই দেবী কোলে তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন বলে দাবি করেছেন অনিল দাস।