একটি বেসরকারি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থা পৌরসভা ভবনের নিচের একটি দোকান লিজ নিয়েছিল বর্ধমান পৌরসভার কাছ থেকে। ওই সংস্থা বন্ধ হওয়ার সময় পাওনা না মেটাতে পেরে এক কর্মচারীকে ওই দোকান দিয়ে দেয়। এরপর প্রতাপ কুমার দাস নামে ওই কর্মী দোকানটি চালাচ্ছিলেন। ২০১৯ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তা পুনর্নবিকরণের জন্য প্রতাপবাবু পুরসভায় লিখিত আবেদন জানান।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘আমাকে সরিয়ে আরও বেশি লুটপাট হবে’, তৃণমূলের শোকজ পেয়ে বিস্ফোরক হুমায়ুন কবীর
মৌখিক ভাবে তাঁকে দোকান চালানোর কথা বলা হলেও লিখিত ভাবে চুক্তি নবীকরণ করেনি পৌরসভা। মাসিক ভাড়াও নেয়নি তারা। এর মাঝে জনি মিদ্যা নামে এক আইনজীবী এসে দোকানটি তিনি কিনে নিয়েছেন বলে দাবি করেন। এবং দোকান ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রতাপবাবুর উপর চাপ দিতে থাকেন। প্রতাপবাবুর দাবি, ওই ব্যক্তি কোনও নথি দেখাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ছায়া দেখলে ভয় পান? মনে হয় মরে যাবেন? অনেকেই এই মারাত্মক রোগে ভুগছেন! জানুন
শনিবার প্রতাপবাবু দোকান খুলতে গেলে জনি মিদ্যা ও তার লোকজন প্রতাপবাবুর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, প্রতাপবাবুকে মারধর করা হয় ও তাঁর স্ত্রী মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। প্রতাপবাবুর দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয় জনি মিদ্যা। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
প্রশ্ন হল, দোকানের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য প্রতাপবাবু আবেদন করা ও ভাড়া দিতে চাওয়া সত্ত্বেও তা কীভাবে অগ্রাহ্য করল পৌরসভা? আগে থেকেই দোকান চালিয়ে আসছেন প্রতাপবাবু। দোকান পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার তাঁরই। অথচ তাঁকে না দিয়ে অন্য ব্যক্তিকে সে দোকান দেওয়া হল কেন? পজিশন পাওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসন আইন আদালত আছে। নিজে আইনজীবী হয়েও সেসব কীভাবে ভুলে গেলেন জনি মিদ্যা! আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার সাহস কোথা থেকে পেলেন তিনি? বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, ওই দোকান নিয়ে একটা সমস্যার কথা শুনেছি। সোমবার দু পক্ষ এসে নথি দেখালে সমস্যার সমাধান হতে পারে।
শরদিন্দু ঘোষ