TRENDING:

ফোন থেকে তথ্য চুরি! প্রতিবেশীর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল গুণধর ছাত্র

Last Updated:

Bangla news: সরলতার সুযোগ নিয়ে এক ব্যক্তির ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকা ধাপে ধাপে উধাও করল এক ছাত্র।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বর্ধমান: বিশ্বাস করে ফোন ঘাঁটতে দিয়েছিলেন বাড়িতে আসা যাওয়া করা পড়ুয়াকে। তার পরিণাম যে এমন হবে কে জানত! সরলতার সুযোগ নিয়ে এক ব্যক্তির ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকা ধাপে ধাপে উধাও করল এক ছাত্র। পরিবারের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করে টাকা হাতানোর অভিযোগ ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে। আজ তাকে কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। কালনার বারুইপাড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।
ফোন থেকে তথ্য চুরি! প্রতিবেশীর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল গুণধর ছাত্র
ফোন থেকে তথ্য চুরি! প্রতিবেশীর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল গুণধর ছাত্র
advertisement

কালনার বাড়ুই পাড়ার সুশান্ত দাসের মোবাইল ফোনে দু'মাস আগে হঠাৎ একটি মেসেজ আসে। বলা হয়, আপনার ব্যাঙ্কে ক্রেডিট কার্ডের টাকা ডিউ আছে। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে এই মেসেজটি এসেছিল। এর পরের দিন তিনি ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারেন ওই ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৯০০ টাকা জিনিস কেনা হয়েছে। এরপর আরও জানতে পারেন অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক থেকে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ১৯৬ টাকার জিনিস কেনা হয়েছে।

advertisement

অবাক হন সুশান্ত বাবু। তিনি জিনিস কেনাকাটি করেননি। দুটি ব্যাঙ্কে সমস্ত হিসাবে ও লেনদেন সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করার পর সুশান্ত বাবু বাড়ি গিয়ে আলোচনা করেন। এরপর সুশান্তবাবু এবং পরিবারের সন্দেহ হয়, ওই বাড়িতেই যাতায়াত করা পড়শি অর্ঘ্য রায়ের উপর। মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক করছে অর্ঘ্য রায়। সুশান্ত বাবু ফোনের বিশেষ কিছু জানেন না। অর্ঘ্যর কাছ থেকে প্রায়ই তিনি ফোন সম্বন্ধে জানতেন। সেই সুযোগেই অর্ঘ্য ফোনে থাকা যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ।

advertisement

আরও পড়ুন- কুইন্টাল কুইন্টাল ছানা প্রতিদিন নিলামে ওঠে আড়তে! কোথায় এমন হয় জানেন?

এরপর এই ঘটনা প্রতিবেশীদের জানালে প্রতিবেশীরা অর্ঘ্যের বাড়িতে যায়। অর্ঘ্য স্বীকার করে নেয় যে, সেই এই টাকা আত্মসাৎ করেছে। এর পর কালনার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এর মধ্যস্থতায় সাদা কাগজে লেখাপড়া হয় যে এই টাকা তিনি ও পরিবার শোধ করে দেবেন। ক'দিন পর টাকা না পাওয়ায় বাড়িতে গেলে অর্ঘ্য পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, "বাবা লটারি টিকিট বিক্রি করে। অভাবের সংসারে এত টাকা দিতে পারব না।" সুশান্ত বাবুরদের সে পরিষ্কার এও জানিয়ে দেয়, এই টাকা দিতে  না পারায় বড় জোর জেল খাটবে। এর বেশি কিছু হবে না।

advertisement

এই কথা শুনে সুশান্ত বাবু চলতি মাসের ১২ তারিখে কালনা থানাতে অর্ঘ্য রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে। তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে আজ অর্ঘ্যকে গ্রেফতার করে এবং কালনা মহকুমা আদালতে পেশ করে।

শরদিন্দু ঘোষ 

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
ফোন থেকে তথ্য চুরি! প্রতিবেশীর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল গুণধর ছাত্র
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল