১১ অগাস্ট আবারও চিতার জন্ম হয়েছে। সেই খবরে রীতিমতো খুশি ছড়িয়ে পড়েছিল বন বিভাগের কর্মী ও জেলার পশুপ্রেমীদের মধ্যে। আর এবার রমনা বাগানে নিয়ে আসা হল আরও তিন নতুন অতিথিকে। ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার নিশা গোস্বামী বলেন, আজ শুক্রবার বন্যপ্রাণ আদান প্রদান প্রকল্পে কলকাতার আলিপুর জু থেকে তিনটি মিষ্টি জলের কুমির আমাদের এই পার্কে নিয়ে আসা হল।
advertisement
তিনি বলেন, এদিনই এই মিনি জুর ভেতর মিষ্টি জলের পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কুমিরগুলিকে। তিনটি কুমিরই মেয়ে কুমির। এর আগে এই পুকুরে দুটি পুরুষ কুমির ছিল। এখন মোট পাঁচটি মিষ্টি জলের কুমির হয়ে গেল আমাদের এই পার্কে। স্বাভাবিকভাবেই পশুপাখি দেখতে যারা এই পার্কে আসেন তাদের কাছে এটা বাড়তি আকর্ষণ সৃষ্টি করবে। আগামী কিছুদিন এই নতুন কুমিরগুলিকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কুমিরগুলির বয়স দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে। লম্বায় প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ ফুট।
আরও পড়ুন- ফোন থেকে তথ্য চুরি! প্রতিবেশীর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল গুণধর ছাত্র
রমনা বাগানের আকর্ষণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। চিতার দুটি বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর, কুমিরের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই পার্কের আকর্ষণ আরও বাড়ল। ফলে সামনেই উৎসবের মরসুম এবং শীতকালে এই মিনি জু-তে এবার দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়বে বলে মনে করছেন বনকর্মী আধিকারিক সকলেই।
আরও পড়ুন- কাঠের পুতুলের গ্রাম! পুজোর বরাত মিলতেই, দিন রাত এক করে পেঁচা গড়ছে নতুনগ্রাম
বর্ধমানের মহারাজা গোলাপবাগে বিশেষ বাগানের পাশাপাশি চিড়িয়াখানা গড়ছিলেন। রাজ আমল শেষ হলে সেখানের পশুপাখির অনেকগুলি রাজ পরিবার আলিপুর চিড়িয়াখানাকে দান করে। কিছু পশুপাখি থেকে যায়। সেসব নিয়েই পথ চলা শুরু হয়েছিল রমনাবাগান অভয়ারণ্যের। তা আজ কেন্দ্রের মিনি জু-র তকমা পেয়েছে।
শরদিন্দু ঘোষ