এই ব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, বারবার রেলের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল ওই জমিটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিজে দেওয়া হোক। কিন্তু সে ব্যাপারে রেল কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। কিন্তু হঠাৎ করেই বিদ্যালয় উচ্ছেদ করে দেওয়া হল। রেলের আধিকারিক এবং আরপিএফ বাহিনীর উপস্থিতিতে বিদ্যালয় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। বিদ্যালয় ভবনে থাকা সমস্ত আসবাবপত্র, অর্থাৎ টেবিল-চেয়ার সমস্ত কিছু বের করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের নামের ফলকটি কালো কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: শরীরী আবেদনে মাত করলেন নোরা! গরমে পুড়লেন রণবীর সিং! ভাইরাল ভিডিও
এই মুহূর্তে বিদ্যালয়ে গরমের ছুটি চলছে। ওই বিদ্যালয়টিতে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা পড়াশোনা করত। কিন্তু বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে পাঠরত পড়ুয়ারা কি করবে, তার উত্তর নেই কারও কাছে। যদিও রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, রেলের মালিকানাধীন যে সমস্ত জায়গাগুলিতে অবৈধ দখলদার রয়েছে, তার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু ক্লাস শুরু হওয়ার পর মাঝামাঝি সময়ে কেন বিদ্যালয় উচ্ছেদ, তা নিয়ে প্রশ্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে অভিভাবকদের।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে আসানসোলে আরও একটি স্কুলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। শতবর্ষ প্রাচীন একটি বিদ্যালয় পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করেছে। রেলের জায়গায় বিদ্যালয়টি থাকার জন্য উচ্ছেদ করা হয়েছিল। সেসময় রাস্তায় নেমেছিলেন আসানসোলের বহু মানুষ। তারপরেও আবার চার দশকের পুরনো একটি বিদ্যালয় উচ্ছেদ করল পূর্ব রেল।
Nayan Ghosh