জানা গিয়েছে, পেঁয়াজের বস্তার নীচে পাচার হচ্ছিল গাঁজা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার সময় বর্ধমান থানার চাঁদনি মোড় এলাকায় ম্যাটাডরটি আটকে তল্লাশি চালায় নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর গোয়েন্দারা।
২০ বস্তা পেঁয়াজের নীচ থেকে উদ্ধার হয় ১৬২ কেজি গাঁজা। ৬টি বস্তায় রাখা ছিল এই মাদক।গাঁজা পাচারের অভিযোগে ম্যাটাডোরের চালক ও সহকারীকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। ধৃতদের নাম সঞ্জীব মণ্ডল ওরফে ভগীরথ এবং রামপ্রসাদ ধীবর। পেঁয়াজের বস্তার মাঝে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল এই গাঁজা ভর্তি বস্তাগুলি। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থানার বাঁশবাগান এলাকায় সঞ্জীবের বাড়ি। সে ওই ম্যাটাডোরটি চালাচ্ছিল। বীরভূমের নলহাটি থানা এলাকায় রামপ্রসাদের বাড়ি।
advertisement
আরও পড়ুন: এ কোন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! তাজ্জব ইসলামপুর, দলে-দলে ছুটে এল মানুষ! কী এমন করলেন?
এনসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে খড়্গপুরের দিক থেকে ম্যাটাডোরটি আসছিল। এই গাড়িতে গাঁজা পাচার হচ্ছে খবর পেয়েই ফাঁদ পাতেন গোয়েন্দারা। চাঁদনি মোড়ে অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা। বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ ম্যাটাডোরটি চাঁদনি মোড়ে এসে পৌঁছয়। এনসিবি গোয়েন্দারা ম্যাটাডোরটিকে আটকান। ম্যাটাডোরের ওপরের দিকে ২০টি পেঁয়াজের বস্তা ছিল। তার তলায় আড়াল করে রাখা ছিল গাঁজার বস্তাগুলি। গাড়ি ও মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ধৃতদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃতদের বর্ধমানের মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের হেফাজতে নিতে চেয়ে অবশ্য আদালতে আবেদন জানায়নি এনসিবি। বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১৭ মে ধৃতদের ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন বিশেষ আদালতের বিচারক।
আরও পড়ুন: সে কী! সব তৈরি, তবু যাদবপুরে ভেঙে ফেলা হবে ৫ তলা বিল্ডিং! কারণ শুনলে আঁতকে উঠবেন
নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ওই গাঁজা কোথা থেকে আনা হচ্ছিল, কোথায় তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, এই চক্রের সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে।