অন্যদিকে, দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা নিয়েও বৈঠক করেন অভিষেক। বিধানসভা হোক বা লোকসভা এখানে ভাল ফল শাসক দলের। ভোট কৌশলে বিশেষ নজরে ভাটপাড়া-জগদ্দল।মতুয়া গড়ে নজর বিশেষ কয়েকটি বিধানসভায়। অস্বস্তি মিটিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা সকলকে।ঠাকুরবাড়ির অন্দরের রাজনীতি ‘পারিবারিক লড়াই’। রাজনৈতিক লড়াইয়ে তাকে না মিশিয়ে প্রচারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু নেতার মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলেছে। সেই সব বিতর্ক দূরে সরিয়ে মানুষকে বোঝানোর সিদ্ধান্ত। সিএএ নিয়ে কেন্দ্র ভুল বোঝাচ্ছে। নাগরিকত্ব পাওয়ার আশায় বিজেপিকে ভোট দেয়। পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে আক্রান্ত হয়েছেন মতুয়ারা। বাস্তব পরিস্থিতি কি তা বোঝাতে বলা হয়েছে সাংগঠনিক বৈঠকে।
advertisement
এই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘সাংগঠনিক আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। বনগাঁ সাব ডিভিশন আমাদের হাতে নেই সেটার পুনরুদ্ধার কিভাবে করা যায় সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। বৈঠক খুবই ভাল হয়েছে গত কয়েকটা নির্বাচনে আমাদের অবশ্যই কিছু সাংগঠনিক ভুল ত্রুটি দুর্বলতার জন্য খারাপ ফল হয়েছে। যদিও ২০১৯ এর তুলনায় ২০২৪ এ লোকসভায় ফলাফল ভালো হয়েছে। আর দেখুন মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক বলে কিছু নেই। আমিও যখন ভোটে দাঁড়িয়েছি তখন আমি মমতা ঠাকুরের থেকে বেশি ভোট পেয়েছি। তাহলে কী অমতুয়া হয়ে আমি বেশি ভোট পেয়েছি। এখানে মানুষ দেখে কোনও রাজনৈতিক দলের থেকে কে ভোটে দাঁড়িয়েছে সেটা। সুব্রত ঠাকুর শান্তনু ঠাকুর এরা নিজেদের স্বার্থে রাজনীতি করে মানুষের স্বার্থে নয়। বনগাঁর মানুষ কোনও উপকার পায়নি, এরা ক’টাকার উন্নয়ন করেছেন বলতে পারবে না। কিন্তু এদের পারিবারিক প্রতিপত্তি বেড়েছে সেটা মানুষ দেখতে পাচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: বাড়িতে বা বাড়ির আশপাশে থাকলে এখনই সরিয়ে ফেলুন! এই ৫ জিনিসই ‘ডেকে আনে’ সাপকে, ঘরে ঢুকে আসবে বিষধর
জেলা চেয়ারম্যান মমতা বালা ঠাকুরও একই সুর মিলিয়ে উল্লেখ করেছেন তাদের মধ্যে সংগঠনে কোনও মতান্তর নেই। তারা একসঙ্গেই কাজ করবেন। অন্যদিকে ভাটপাড়া নিয়ে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। এই জেলার ১৪ টা বিধানসভা আসন রয়েছে। ১৩ টা আসন তৃণমূলের দখলে রয়েছে। একটি আসন ভাটপাড়াতে কেন তারা বারবার পিছিয়ে যাচ্ছি। স্থানীয়ভাবে সেখানে সাংগঠনিক কিছু পরিবর্তন হতে চলেছে, বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।