এই বিষয়ে মৃতের পরিবার জানান, "মৃত ব্যক্তি কৈলাস পতি গুপ্তার বয়স হয়েছিল ১০২ বছর। এই বয়সের পাশাপাশি তিনি জীবিত অবস্থায় স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে (Freedom Fighter) যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও তিনি সমাজ সেবার (Social service) বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্ত ছিলেন ও সমাজের জন্য অনেক সেবামূলক কাজও করেছেন। এসব কারণেই আমরা তাকে সম্মান জানানোর জন্যই তার শেষ যাত্রায় হরিনাম সংকীর্তন সহ ব্যান্ড পার্টিরও আয়োজন করেছি"। একই ভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা এই অবাক করা ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "রেজিস্টার্ড স্বাধীনতা সংগ্রামী না হলেও শুনেছি অনেক আগে থেকেই স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজ সেবার ক্ষেত্রেও তিনি যুক্ত ছিলেন এমনটাই জানি। তিনি বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজ করতেন ও মানুষের বিভিন্ন বিপদে সবার পাশে থাকতেন। তাই আমরা তাকে তার শেষ যাত্রায় শেষ বারের মতো সম্মান (Last Rite) জানাতে চেয়ে শোকের মধ্যেও এই আয়োজন করেছি।"
advertisement
মৃতের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসলেও কীর্তনের সাথে আয়োজন করা হয়েছে ব্যান্ড পার্টিও। কৈলাসপতি গুপ্তার মৃত্যু সংবাদে তাঁর শেষ যাত্রায় ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা (all paid their visit for Last Rite) জানাতে তার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ছিলেন দুবরাজপুর পৌরসভার চেয়ার পারসন পীযূষ পান্ডে, দুবরাজপুর থানার ওসি শেখ আফরোজ হোসেন, দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষ সেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ। এছাড়াও তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাকে শেষ বারের মতো দেখতে তার বাড়ির সামনে জমায়েত হয়েছিল গোটা দুবরাজপুর শহরের অনেক মানুষ (Local authority and people paid tribute)।